ময়মনসিংহ , বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

আমার প্রত্যেকটি ফেলে আসা সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ বললেন জয়া আহসান

  • ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৫৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

অভিনেত্রী জয়া আহসান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত । অভিনয় ও রূপের দ্যুতি ছড়িয়েছেন দেশের সীমা পেরিয়ে ওপার বাংলায়ও। বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন । এরই মধ্যে ওপার বাংলার দর্শকদের ভালোবাসা যেমন পেয়েছেন, তেমনি কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাপ্তির ঝুলিতে জমা পড়েছে পুরস্কার। 

ব্যক্তিগত জীবনে মডেল-অভিনেতা ফয়সাল আহসানের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন জয়া আহসান। কিন্তু ২০১২ সালে ভেঙে যায় তাদের ১৪ বছরের সংসার। তারপর থেকে সিঙ্গেল জীবনযাপন করছেন জয়া। বর্তমানে কলকাতায় অবস্থান করছেন তিনি। সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার ডট কমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের ব্যক্তিগত জীবন, সম্পর্ক, শৈশব এবং মায়ের সঙ্গে তার বিশেষ বন্ধন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।

জয়া জানিয়েছেন, তার প্রথম কানের দুল এখনও যত্নে রাখা আছে। ছোটবেলায় নানুর দেওয়া ছোট্ট ছোট্ট ঝুমকোও তার কাছে অমূল্য সম্পদ। অভিনেত্রীর ভাষ্যে, ‘আমার সব কিছুতে নানুর একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। সেই প্রথম আমার জন্য একটা শাড়ি কেনা হল তখন আমি সপ্তম কি অষ্টম শ্রেণি। আমার নানু মানে টাঙ্গাইল থেকে শাড়ি কিনে দিল। সে দিন প্রথম মনে হল, অফিসিয়ালি আমি বড় হয়ে গিয়েছি।’

ব্যক্তি সম্পর্কে জটিলতা আরো বেড়েছে, এ বিষয়ে আপনার কী মত? এমন প্রশ্নের জবাবে জয়া আহসান বলেন, ‘এখন তো কেউ রিলেশনশিপেই যায় না! সিচুয়েশনশিপ… আর কী কী যেন আছে? এসব ভাবনায় সব কিছুই আছে শুধু রিলেশনশিপটাই নেই।’

তাহলে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানটাই কী পুরোনো হয়ে গেল? জবাবে জয়া আহসান বলেন, ‘ওগুলো তো ‘ওল্ড স্কুল’। যাইহোক, এই জিনিসগুলো আসবে। আবার ঘুরে আসবে। তবে পৃথিবীতে যতরকম মানুষ ততরকম সম্পর্ক। কোনো সম্পর্কই কোনো সম্পর্কের সঙ্গে মেলে না। আমার প্রত্যেকটি ফেলে আসা সম্পর্কও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সেই সম্পর্কগুলো নিয়েই আজকের আমি। সব ঝেড়ে ফেলে দেওয়া যায় না। ভুলটুকুও তো আমার! সেটা মেনে সামনের দিকে চলা।’

জয়া তার মায়ের প্রতি গভীর ভালোবাসার কথা বললেও তা প্রকাশে এক ধরনের জড়তা অনুভব করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সংসারে আমাদের মা সূর্য। মায়ের সংসারে শুধুই যে সন্তানে সীমাবদ্ধ তা নয়। পোষ্যরা আছে, পরিচারিকারা আছেন এরাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।’

জয়ার কথায়, ‘মাকে কখনো বলিনি, আমি তোমাকে ভালবাসি। মাকে ডেকে কখনও আবার দুঃখপ্রকাশও করিনি। কেমন যেন লাগে! অথচ পৃথিবীর সকলের কাছে বলতে পারি ‘সরি’।’

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দশ বছর পর বাংলা সিনেমা নির্মাণ করছেন পরিচালক অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী। ‘ডিয়ার মা’ শিরোনামের এ সিনেমায় অভিনয় করছেন জয়া। কয়েক দিন আগে কলকাতায় সিনেমাটির পোস্টার প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন জয়া।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমার প্রত্যেকটি ফেলে আসা সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ বললেন জয়া আহসান

আপডেট সময় ০২:৫৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

অভিনেত্রী জয়া আহসান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত । অভিনয় ও রূপের দ্যুতি ছড়িয়েছেন দেশের সীমা পেরিয়ে ওপার বাংলায়ও। বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন । এরই মধ্যে ওপার বাংলার দর্শকদের ভালোবাসা যেমন পেয়েছেন, তেমনি কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাপ্তির ঝুলিতে জমা পড়েছে পুরস্কার। 

ব্যক্তিগত জীবনে মডেল-অভিনেতা ফয়সাল আহসানের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন জয়া আহসান। কিন্তু ২০১২ সালে ভেঙে যায় তাদের ১৪ বছরের সংসার। তারপর থেকে সিঙ্গেল জীবনযাপন করছেন জয়া। বর্তমানে কলকাতায় অবস্থান করছেন তিনি। সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার ডট কমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের ব্যক্তিগত জীবন, সম্পর্ক, শৈশব এবং মায়ের সঙ্গে তার বিশেষ বন্ধন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।

জয়া জানিয়েছেন, তার প্রথম কানের দুল এখনও যত্নে রাখা আছে। ছোটবেলায় নানুর দেওয়া ছোট্ট ছোট্ট ঝুমকোও তার কাছে অমূল্য সম্পদ। অভিনেত্রীর ভাষ্যে, ‘আমার সব কিছুতে নানুর একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। সেই প্রথম আমার জন্য একটা শাড়ি কেনা হল তখন আমি সপ্তম কি অষ্টম শ্রেণি। আমার নানু মানে টাঙ্গাইল থেকে শাড়ি কিনে দিল। সে দিন প্রথম মনে হল, অফিসিয়ালি আমি বড় হয়ে গিয়েছি।’

ব্যক্তি সম্পর্কে জটিলতা আরো বেড়েছে, এ বিষয়ে আপনার কী মত? এমন প্রশ্নের জবাবে জয়া আহসান বলেন, ‘এখন তো কেউ রিলেশনশিপেই যায় না! সিচুয়েশনশিপ… আর কী কী যেন আছে? এসব ভাবনায় সব কিছুই আছে শুধু রিলেশনশিপটাই নেই।’

তাহলে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানটাই কী পুরোনো হয়ে গেল? জবাবে জয়া আহসান বলেন, ‘ওগুলো তো ‘ওল্ড স্কুল’। যাইহোক, এই জিনিসগুলো আসবে। আবার ঘুরে আসবে। তবে পৃথিবীতে যতরকম মানুষ ততরকম সম্পর্ক। কোনো সম্পর্কই কোনো সম্পর্কের সঙ্গে মেলে না। আমার প্রত্যেকটি ফেলে আসা সম্পর্কও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সেই সম্পর্কগুলো নিয়েই আজকের আমি। সব ঝেড়ে ফেলে দেওয়া যায় না। ভুলটুকুও তো আমার! সেটা মেনে সামনের দিকে চলা।’

জয়া তার মায়ের প্রতি গভীর ভালোবাসার কথা বললেও তা প্রকাশে এক ধরনের জড়তা অনুভব করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সংসারে আমাদের মা সূর্য। মায়ের সংসারে শুধুই যে সন্তানে সীমাবদ্ধ তা নয়। পোষ্যরা আছে, পরিচারিকারা আছেন এরাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।’

জয়ার কথায়, ‘মাকে কখনো বলিনি, আমি তোমাকে ভালবাসি। মাকে ডেকে কখনও আবার দুঃখপ্রকাশও করিনি। কেমন যেন লাগে! অথচ পৃথিবীর সকলের কাছে বলতে পারি ‘সরি’।’

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দশ বছর পর বাংলা সিনেমা নির্মাণ করছেন পরিচালক অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী। ‘ডিয়ার মা’ শিরোনামের এ সিনেমায় অভিনয় করছেন জয়া। কয়েক দিন আগে কলকাতায় সিনেমাটির পোস্টার প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন জয়া।