ময়মনসিংহ , সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

আমিনুলের চিঠি ‘নোংরামি’: তামিমের ক্ষোভ বিসিবি নির্বাচন নিয়ে

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। ৬ অক্টোবরের এই নির্বাচনে কাউন্সিলর মনোনয়নে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন সাবেক ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, যিনি সাবেক বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলামের পাঠানো একটি চিঠিকে ‘নোংরামি’ বলে মন্তব্য করেছেন।

গত রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা, বিভাগ ও ক্লাব সংগঠকদের একটি পক্ষ অভিযোগ করে, বিসিবি সভাপতির ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ হচ্ছে। এই অভিযোগের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আমিনুল ইসলামের স্বাক্ষর করা একটি চিঠি, যেখানে তিনি জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলোকে নতুন করে কাউন্সিলরদের নাম জমা দিতে বলেছেন। এর জবাবে, তামিম বলেন, ‘তিনি নাকি নির্বাচন বোঝেন না। তাহলে এমন চিঠি কীভাবে দিলেন! এই নোংরামিটা করা উচিত নয়। নির্বাচন হবে সুষ্ঠু। এখানে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না।

এই বিতর্কে দুই সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ও তামিম মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছেন। এটি অনেকটাই ‘ওপেন সিক্রেট’ যে আমিনুল ইসলামকে সরকার সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে দেখা হচ্ছে, যিনি যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সমর্থন পাচ্ছেন। অন্যদিকে, বিসিবির সাবেক সভাপতি আলী আসগর লবী তামিমকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তামিমের নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে এবং তার পাশে থাকা বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের উপস্থিতি এই ধারণাকে আরও জোরালো করেছে।

তামিম ইকবাল।

এই রাজনৈতিক বিভাজন নিয়ে আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদওয়ান অভিযোগ করেন, সরকারের বিভিন্ন বিভাগ থেকে চিঠি পাঠিয়ে বিসিবি নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা বোর্ডের গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী। তিনি বলেন, কাউন্সিলরদের নাম বদলানোর মাধ্যমে নির্বাচনকে সিলেকশনে পরিণত করার চেষ্টা চলছে।

আমিনুল ইসলাম।

এই পরিস্থিতিতে বিসিবি নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সংগঠকদের একাংশ আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে এবং কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে বাংলাদেশের ক্রিকেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এর নিষেধাজ্ঞার মুখেও পড়তে পারে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমিনুলের চিঠি ‘নোংরামি’: তামিমের ক্ষোভ বিসিবি নির্বাচন নিয়ে

আপডেট সময় ১০:২২:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। ৬ অক্টোবরের এই নির্বাচনে কাউন্সিলর মনোনয়নে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন সাবেক ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, যিনি সাবেক বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলামের পাঠানো একটি চিঠিকে ‘নোংরামি’ বলে মন্তব্য করেছেন।

গত রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা, বিভাগ ও ক্লাব সংগঠকদের একটি পক্ষ অভিযোগ করে, বিসিবি সভাপতির ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ হচ্ছে। এই অভিযোগের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আমিনুল ইসলামের স্বাক্ষর করা একটি চিঠি, যেখানে তিনি জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলোকে নতুন করে কাউন্সিলরদের নাম জমা দিতে বলেছেন। এর জবাবে, তামিম বলেন, ‘তিনি নাকি নির্বাচন বোঝেন না। তাহলে এমন চিঠি কীভাবে দিলেন! এই নোংরামিটা করা উচিত নয়। নির্বাচন হবে সুষ্ঠু। এখানে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না।

এই বিতর্কে দুই সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ও তামিম মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছেন। এটি অনেকটাই ‘ওপেন সিক্রেট’ যে আমিনুল ইসলামকে সরকার সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে দেখা হচ্ছে, যিনি যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সমর্থন পাচ্ছেন। অন্যদিকে, বিসিবির সাবেক সভাপতি আলী আসগর লবী তামিমকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তামিমের নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে এবং তার পাশে থাকা বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের উপস্থিতি এই ধারণাকে আরও জোরালো করেছে।

তামিম ইকবাল।

এই রাজনৈতিক বিভাজন নিয়ে আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদওয়ান অভিযোগ করেন, সরকারের বিভিন্ন বিভাগ থেকে চিঠি পাঠিয়ে বিসিবি নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা বোর্ডের গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী। তিনি বলেন, কাউন্সিলরদের নাম বদলানোর মাধ্যমে নির্বাচনকে সিলেকশনে পরিণত করার চেষ্টা চলছে।

আমিনুল ইসলাম।

এই পরিস্থিতিতে বিসিবি নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সংগঠকদের একাংশ আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে এবং কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে বাংলাদেশের ক্রিকেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এর নিষেধাজ্ঞার মুখেও পড়তে পারে।