ময়মনসিংহ , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

ইউপি সচিব বরখাস্ত,অবৈধভাবে ৪৬০ জন্মনিবন্ধন করায়

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ইউপি সচিব) মিনারুল হককে বরখাস্ত করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএইচএম সাইদুর রহমান লিখিতভাবে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান, তার অজান্তে জন্মনিবন্ধন আইডি, মোবাইল নম্বর ও পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে অবৈধভাবে গত ১৫ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ৪৫০ থেকে ৪৬০ জনের জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করেন মিনারুল হক।

চেয়ারম্যানের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করে প্রশাসন। পরে তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পান। তাই স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) কর্মচারী চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণ, প্রতারণা ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি প্রতীয়মান হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ইউপি সচিব) মো. মিনারুল হক বলেন, আমি এখনো বরখাস্তের কোনো অফিস আদেশ পাইনি।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা না থাকায় জন্মনিবন্ধন তৈরি করতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই ইউনিয়নের হিসাবরক্ষককে আপাতত জন্মনিবন্ধন তৈরির অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ করেছি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

ইউপি সচিব বরখাস্ত,অবৈধভাবে ৪৬০ জন্মনিবন্ধন করায়

আপডেট সময় ১০:৫৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ইউপি সচিব) মিনারুল হককে বরখাস্ত করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএইচএম সাইদুর রহমান লিখিতভাবে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান, তার অজান্তে জন্মনিবন্ধন আইডি, মোবাইল নম্বর ও পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে অবৈধভাবে গত ১৫ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ৪৫০ থেকে ৪৬০ জনের জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করেন মিনারুল হক।

চেয়ারম্যানের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করে প্রশাসন। পরে তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পান। তাই স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) কর্মচারী চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণ, প্রতারণা ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি প্রতীয়মান হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ইউপি সচিব) মো. মিনারুল হক বলেন, আমি এখনো বরখাস্তের কোনো অফিস আদেশ পাইনি।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা না থাকায় জন্মনিবন্ধন তৈরি করতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই ইউনিয়নের হিসাবরক্ষককে আপাতত জন্মনিবন্ধন তৈরির অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ করেছি।