ময়মনসিংহ , সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

উল্লেখযোগ্য উন্নতি নেই এখনও খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার

  • ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থায় গত কয়েক দিনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়নি। একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হলেও তার মূল জটিলতাগুলো এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।

চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বলছেন, তার ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদ্‌যন্ত্র ও ফুসফুসের সমস্যাগুলো ওঠানামা করছে এবং এ কারণেই তাকে কয়েক দিন ধরে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

সূত্রের উদ্ধৃত তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রাত পর্যন্ত তার অবস্থা স্থিতিশীল নয়, আবার অবনতিও নয়—সবকিছু প্রায় আগের মতোই রয়েছে।

চিকিৎসকদের একটি সূত্র বলছে, খালেদা জিয়ার অবস্থার প্রতিটি পরিবর্তন খুব ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। চিকিৎসকেরা বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন তার ডায়াবেটিসের ওঠানামা, কিডনির কার্যকারিতা, হৃদ্‌যন্ত্রের জটিলতা এবং ফুসফুসের অবস্থা নিয়ে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানও চিকিৎসা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। লন্ডন থেকে ঢাকায় এসে তিনি প্রতিদিন হাসপাতালে তার অবস্থা দেখছেন।

চিকিৎসকদের মতে, পরিস্থিতি একদিকে স্থিতিশীল বলা যাচ্ছে না, আবার তীব্র অবনতিও হয়নি। তবে মূল জটিলতাগুলো নিয়ন্ত্রণে না আসায় এবং নতুন কোনো ঝুঁকি দেখা না দিলেও তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। মেডিকেল বোর্ডের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, তার ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদ্‌যন্ত্র ও ফুসফুসের সমস্যা কিছু সময় নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আবার হঠাৎ বেড়ে যায়। ফলে সার্বিকভাবে তাকে স্থিতিশীল অবস্থায় বলা যাচ্ছে না। সর্বশেষ পরীক্ষায় কিডনি ও ফুসফুসের অবস্থায় কিছুটা অগ্রগতি দেখা গেলেও তা মোট ঝুঁকি কমানোর জন্য যথেষ্ট নয়; তিনি এখনো আশঙ্কামুক্ত নন।

এই অনিশ্চয়তার কারণেই খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রার সম্ভাব্য তারিখ বারবার পরিবর্তিত হচ্ছে। প্রথমে বিএনপি জানায়, তাকে ৫ ডিসেম্বর ভোরে লন্ডনে নেওয়া হবে। পরে নতুন সময় দেওয়া হয় ৭ ডিসেম্বর। আবার রাতে সম্ভাব্য তারিখ পিছিয়ে ৯ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত সেই সময়ও নিশ্চিত করা যায়নি।

দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার সংকটাপন্ন শারীরিক অবস্থা নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

উল্লেখযোগ্য উন্নতি নেই এখনও খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার

আপডেট সময় ১১:০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থায় গত কয়েক দিনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়নি। একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হলেও তার মূল জটিলতাগুলো এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।

চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বলছেন, তার ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদ্‌যন্ত্র ও ফুসফুসের সমস্যাগুলো ওঠানামা করছে এবং এ কারণেই তাকে কয়েক দিন ধরে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

সূত্রের উদ্ধৃত তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রাত পর্যন্ত তার অবস্থা স্থিতিশীল নয়, আবার অবনতিও নয়—সবকিছু প্রায় আগের মতোই রয়েছে।

চিকিৎসকদের একটি সূত্র বলছে, খালেদা জিয়ার অবস্থার প্রতিটি পরিবর্তন খুব ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। চিকিৎসকেরা বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন তার ডায়াবেটিসের ওঠানামা, কিডনির কার্যকারিতা, হৃদ্‌যন্ত্রের জটিলতা এবং ফুসফুসের অবস্থা নিয়ে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানও চিকিৎসা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। লন্ডন থেকে ঢাকায় এসে তিনি প্রতিদিন হাসপাতালে তার অবস্থা দেখছেন।

চিকিৎসকদের মতে, পরিস্থিতি একদিকে স্থিতিশীল বলা যাচ্ছে না, আবার তীব্র অবনতিও হয়নি। তবে মূল জটিলতাগুলো নিয়ন্ত্রণে না আসায় এবং নতুন কোনো ঝুঁকি দেখা না দিলেও তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। মেডিকেল বোর্ডের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, তার ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদ্‌যন্ত্র ও ফুসফুসের সমস্যা কিছু সময় নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আবার হঠাৎ বেড়ে যায়। ফলে সার্বিকভাবে তাকে স্থিতিশীল অবস্থায় বলা যাচ্ছে না। সর্বশেষ পরীক্ষায় কিডনি ও ফুসফুসের অবস্থায় কিছুটা অগ্রগতি দেখা গেলেও তা মোট ঝুঁকি কমানোর জন্য যথেষ্ট নয়; তিনি এখনো আশঙ্কামুক্ত নন।

এই অনিশ্চয়তার কারণেই খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রার সম্ভাব্য তারিখ বারবার পরিবর্তিত হচ্ছে। প্রথমে বিএনপি জানায়, তাকে ৫ ডিসেম্বর ভোরে লন্ডনে নেওয়া হবে। পরে নতুন সময় দেওয়া হয় ৭ ডিসেম্বর। আবার রাতে সম্ভাব্য তারিখ পিছিয়ে ৯ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত সেই সময়ও নিশ্চিত করা যায়নি।

দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার সংকটাপন্ন শারীরিক অবস্থা নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।