৮৫৭ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলার অন্যতম আসামি এক্সিম ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুন বাগিচা থেকে সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দুদকের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন। আজই তাকে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানা যায়।
এর আগে এই মামলার অপর আসামি নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকে ২০২৪ সালে ১ অক্টোবর গুলশান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল ডিবি। আজ আরও একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো।
মামলার আসামিরা হলেন– মদিনা ডেটস অ্যান্ড নাটসের প্রোপাইটার মোজাম্মেল হোসাইন, এক্সিম ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা ব্যবস্থাপক মো. আসাদ মালেক, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দ্বিতীয় কর্মকর্তা মোসা. জেবুন্নেসা বেগম, সিনিয়র অফিসার ও ইনভেস্টমেন্ট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট অফিসার কাওসার আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আরমান হোসেন, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আনিছুল আলম, অ্যাডিশনাল ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইছরাইল খান ও মো. মঈদুল ইসলাম, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাকসুদা খানম ও মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া।
এ ছাড়া সাবেক অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহ মো. আব্দুল বারি, সাবেক অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিএফও মো. হুমায়ুন কবীর, সাবেক পরিচালক ও বর্তমানে চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম স্বপন, সাবেক পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ, পরিচালক মো. নুরুল আমিন, পরিচালক অঞ্জন কুমার সাহা, সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মো. নাজমুস ছালেহিন এবং সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মিয়া মোহাম্মদ কাওছার আলমও রয়েছেন তালিকায়।
দুদকের এজাহার বলছে ‘মদিনা ডেটস অ্যান্ড নাটস’ শাখার অসম্পূর্ণ ঋণ প্রস্তাবের বিষয়ে কোনো যাচাই, সম্ভাব্যতা যাচাই বা স্টক রিপোর্ট ছাড়াই এবং জামানতের বিষয়টি থাকলেও আসামরা যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার, অসদাচরণ ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে ঋণ অনুমোদনের সুপারিশ করেন। তারা ইনভেস্টমেন্ট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ও সভাপতি হিসেবে ঋণ অনুমোদনের সুপারিশ, বোর্ড মেমো পাঠানো এবং বোর্ডের অনুমোদন করিয়ে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেন। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ৫(২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

ডিজিটাল রিপোর্ট 























