গত মঙ্গলবার (২৭ মে) গভীররাতে দুর্বৃত্তরা চেতনানাশক স্প্রে করে পরিবারের সবাইকে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুটে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার হরিন্দী গ্রামের রায় বাড়িতে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাড়ির প্রধান হিমাংশু শিখর রায় কয়েকদিন ধরেই শারিরীকভাবে অসুস্থ রয়েছেন। রাতেরবেলা সবাই মিলে তার ওনার কাছেই ছিলেন। আর এ কারণেই ওই ঘরের বারান্দার গ্রিল সব সময় খোলা রাখা হয় কিন্তু বাড়ির মূল গেট তালাবন্ধ ছিল। গত মঙ্গলবার (২৭ মে) রাত অনুমানিক ১২টা পর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা জেগে ছিল। রাতের কোনো একসময় সুযোগ বুঝে বাড়ির দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে তারা পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে চেতনানাশক স্প্রে প্রয়োগ করে বাড়ির সব সদস্যদের অচেতন করে ফেলে।
হিমাংশু শিখরের ছেলে ড. হিমাদ্রি শেখর গণমাধ্যমকে জানান, গত মঙ্গলবার (২৭ মে) রাত অনুমানিক ১২টা পর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা জেগে ছিল। রাতের কোনো একসময় সুযোগ বুঝে বাড়ির দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে তারা পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে চেতনানাশক স্প্রে প্রয়োগ করে বাড়ির সব সদস্যদের অচেতন করে ফেলে। অচেতন অবস্থায় দুর্বৃত্তরা সুযোগ বুঝে তাদের ইচ্ছামতো সোনা-দানা, নগদ টাকা-পয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।
মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের আরএমও মামুনুর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, বুধবার সকালে অচেতন অবস্থায় একই পরিবারের তিন সদস্যকে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইদ্রিস আলী বলেন, খবর শোনা মাত্রই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বাড়ির সকল সদস্য অচেতন থাকার কারো কাছে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি জোড়ালোভাবে গুরুত্ব সহকারে তদন্ত চলছে। আশা করি অতি দ্রুতই দোষীদের খুঁজে বের করে তাদের আইনের আনা হবে।