নারীর মর্যাদা ও সম্মান রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘সমতা ও মর্যাদার ভিত্তিতে নারীকে সম্মানিত করা কেবল নৈতিক দায়িত্ব নয়, এটি রাষ্ট্রের অপরিহার্য কর্তব্য। রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনায় নারীর সম্মানজনক অংশগ্রহণ নিশ্চিত না করলে উন্নয়নও পূর্ণতা পাবে না।’
সোমবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংলাপ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপের ধারাবাহিক ১৩তম দিনের এই বৈঠকে অংশ নেয় দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। আলোচনা প্রধানত ঘুরপাক খায় সংসদে নারীর সংরক্ষিত আসন ও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠনের প্রস্তাবকে ঘিরে।
আলোচনার সূচনায় অধ্যাপক রীয়াজ স্মরণ করিয়ে দেন এক বছর আগের ১৪ জুলাইয়ের ঘটনাপ্রবাহ, যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা অপমানের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘যে সমাজ নারীদের দমন করে, সেই সমাজই ধীরে ধীরে পিছিয়ে পড়ে। নারীর সম্ভাবনা, মর্যাদা ও অংশগ্রহণের পথ উন্মুক্ত করলেই রাষ্ট্র এগিয়ে যাবে।’
তিনি আরও জানান, দেশের রাজনৈতিক সংস্কারে নারীর মর্যাদাসম্পন্ন ভূমিকা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট ঐকমত্য কমিশন। নারী প্রতিনিধিত্ব কেবল সংখ্যা নয়—তা হতে হবে কার্যকর ও গঠনমূলক। তাই সংসদে নারীর যথার্থ ও সম্মানজনক অংশগ্রহণ কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, সেই বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।
নারীর অধিকার রক্ষায় এবং রাজনৈতিক পরিসরে তাদের প্রভাব বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই ধরনের আলোচনা ও পরিকল্পনা আগামীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।