গত বছরের ২৭ নভেম্বর ঘরোয়া অনুষ্ঠানে মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী পিয়া চক্রবর্তীকে বিয়ে করেন অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। বিয়ের পর থেকেই একের পর এক কটাক্ষের শিকার হতে হয় নবদম্পতিকে।
কারণ অভিনেতার বর্তমান স্ত্রী গায়ক অনুপম রায়ের সাবেক পত্নী। সে কারণে নানা সময় সমালোচনায় বিদ্ধ করা হয় তাদের। যদিও পরম-পিয়া কখনই এ প্রসঙ্গে কোনো সাফাই দিতে যাননি। তাদের বিয়ের মাসতিনেক পেরোতে না পেরোতেই পরমব্রতের সাবেক স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সন্ধি করলেন পিয়া! সোমবার সোস্যাল মিডিয়ায় একফ্রেমে ধরা দিলেন তারা। একটা সময় বিবাহিত স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করেছেন পরম, কিন্তু টেকেনি সেই সম্পর্ক।
আনন্দবাজার অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, অতীতে একাধিক সম্পর্কে ছিলেন পরমব্রত। তা নিয়ে তিনি কখনো লুকোছাপা করেননি। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন পরমব্রত। তবে সেই সম্পর্ক খুব বেশিদূর এগোয়নি; কিন্তু এরপর পরমব্রত তার বিদেশি বান্ধবী ইকার সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পর্কে ছিলেন। কয়েক বছর আগে দুজনের সম্পর্ক ভেঙে যায়। এ নিয়ে পরমব্রত খোলাখুলি কথাও বলেছিলেন। এমনও শোনা যায়, ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির এক অভিনেত্রী নাকি পরমব্রতকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন কিন্তু রাজি হননি অভিনেতা। অবশেষে পিয়ার সঙ্গে ঘর বাঁধেন পরমব্রত। এর মধ্যেই স্বস্তিকার আগমন। যদিও এর মধ্যে এক পার্টিতে অভিনেতার সঙ্গে আলিঙ্গনরত অবস্থায় দেখা যায় স্বস্তিকাকে। সোমবার পরমের স্ত্রীর সঙ্গে বেশকিছু ছবি দিয়ে অভিনেত্রী লেখেন- ‘আয় বেঁধে বেঁধে থাকি।’ পালটা পিয়াও লেখেন- ‘আমরা চঞ্চল আমরা অদ্ভুত।’
আসলে প্রেম ভাঙা মানেই যে বিচ্ছেদ, যোগাযোগ বন্ধ, তিক্ততা জিইয়ে রাখা- এসবে বিশ্বাসী নন অভিনেত্রী। মাস কয়েক আগে আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বস্তিকা বলেন, ‘পরমের কথা ভাবলে, ওর সঙ্গে কাটানো ভালো সময়টাই মনে পড়ে। সেজন্য হয়তো সেদিন বাড়ি ফেরার সময় ওকে জড়িয়ে ধরে বলতে পারলাম যে, ‘ভালো থাকিস’। ও-ও বলল, বাড়িতে ডাকবে। পিয়াকে (চক্রবর্তী) আমি অনেক বছর ধরে চিনি। আমার খুব ভালো লাগে ওকে। পরমকে বললাম, ‘ডাকিস, তোর জন্য না হলেও পিয়ার জন্য যাব।’ কারণ পিয়ার স্বামী কে, সেটা আমার কাছে জরুরি নয়। আমি আসলে তেমন মানুষই নই যে, কাউকে জড়িয়ে ধরে ‘ভালো থাকিস’ বলতে পারব না।