ময়মনসিংহ , বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এখন নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন বললেন ফখরুল বিতর্কিত কর্মকর্তারা যেন নির্বাচনে না থাকতে পারে বললেন মঈন খান একটি দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার সুযোগ খুঁজছে বললেন সালাহউদ্দিন ইতোমধ্যে সাড়ে ৮ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছেন জানালেন এনবিআর ‘নির্বাচন ঘিরে যেকোনো অপশক্তি মোকাবেলা করতে সক্ষম আইনশৃঙ্খলা বাহিনী’ হট্টগোলের পর অবশেষে শপথ নিলেন চাকসুর নবনির্বাচিত ছাত্রপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের দিনই গণভোটে অটল বিএনপি বললেন ড. মঈন থাইল্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনা,সুস্থ অবস্থায় দেশে ফিরে বাকৃবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু যুবদল-শিবির সংঘর্ষের দুদিন পর পাল্টাপাল্টি মামলা নোয়াখালীতে সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিরা
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা শনিবার থেকে

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। দাবি আদায় না হলে আগামী শনিবার (২৮ জুন) থেকে এনবিআরের সব দপ্তরে লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

গত সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

গত ২১ জুন এ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিল এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।

এদিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কলম বিরতি চলাকালে আয়কর অনুবিভাগের পাঁচ কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে। আন্দোলনকারীরা এই বদলিকে প্রহসন ও জুলুমবাজী আখ্যা দিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শরীরে কাফনের কাপড় জড়িয়ে স্লোগান দেন— ‘বদলির নামে প্রহসন মানি না, গোলামির অধ্যাদেশ মানি না, বদলির নামে জুলুমবাজি বন্ধ করতে হবে’।

নিরাপত্তা রক্ষায় এনবিআর ভবন চত্বরে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।

এর আগে গত মে মাসে এনবিআরকে দুই ভাগ করে ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’ ও ‘রাজস্ব নীতি’ নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ করতে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এরপর থেকেই ওই অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে কর্মকর্তারা কলম বিরতিসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

সরকার এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিলেও আন্দোলনকারীরা চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে অটল থাকেন। এ সময়ে চেয়ারম্যানকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হয়।

আন্দোলনের সামনের সারির কয়েকজন কর্মকর্তার বদলিকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ‘অগণতান্ত্রিক’ আখ্যা দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এই বদলি কোনো স্বাভাবিক প্রশাসনিক প্রক্রিয়া নয়, এটি সুপরিকল্পিত কূটচাল, যা চলমান রাজস্ব সংস্কারকে ব্যাহত করার অপচেষ্টা।’

তিনি আরও বলেন, ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের অংশগ্রহণ ছাড়া ফলপ্রসূ রাজস্ব সংস্কার সম্ভব নয়। এ ধরনের সিদ্ধান্ত আমরা কোনোভাবেই স্বীকৃতি দেব না।’

আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের এই ফ্যাসিস্ট আচরণ আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি।’

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এখন নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন বললেন ফখরুল

কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা শনিবার থেকে

আপডেট সময় ০১:৫৩:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। দাবি আদায় না হলে আগামী শনিবার (২৮ জুন) থেকে এনবিআরের সব দপ্তরে লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

গত সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

গত ২১ জুন এ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিল এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।

এদিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কলম বিরতি চলাকালে আয়কর অনুবিভাগের পাঁচ কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে। আন্দোলনকারীরা এই বদলিকে প্রহসন ও জুলুমবাজী আখ্যা দিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শরীরে কাফনের কাপড় জড়িয়ে স্লোগান দেন— ‘বদলির নামে প্রহসন মানি না, গোলামির অধ্যাদেশ মানি না, বদলির নামে জুলুমবাজি বন্ধ করতে হবে’।

নিরাপত্তা রক্ষায় এনবিআর ভবন চত্বরে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।

এর আগে গত মে মাসে এনবিআরকে দুই ভাগ করে ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’ ও ‘রাজস্ব নীতি’ নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ করতে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এরপর থেকেই ওই অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে কর্মকর্তারা কলম বিরতিসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

সরকার এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিলেও আন্দোলনকারীরা চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে অটল থাকেন। এ সময়ে চেয়ারম্যানকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হয়।

আন্দোলনের সামনের সারির কয়েকজন কর্মকর্তার বদলিকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ‘অগণতান্ত্রিক’ আখ্যা দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এই বদলি কোনো স্বাভাবিক প্রশাসনিক প্রক্রিয়া নয়, এটি সুপরিকল্পিত কূটচাল, যা চলমান রাজস্ব সংস্কারকে ব্যাহত করার অপচেষ্টা।’

তিনি আরও বলেন, ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের অংশগ্রহণ ছাড়া ফলপ্রসূ রাজস্ব সংস্কার সম্ভব নয়। এ ধরনের সিদ্ধান্ত আমরা কোনোভাবেই স্বীকৃতি দেব না।’

আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের এই ফ্যাসিস্ট আচরণ আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি।’