দেশে ফের চোখ রাঙাতে শুরু করেছে মহামারি করোনা ভাইরাস। নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে জারি করা হয়েছে বিশেষ সতর্কতা। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সম্প্রতি ওমিক্রনের কয়েকটি নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট—এলএফ.৭, এক্সএফজি, জেএন-১ এবং এনবি ১.৮.১—এর সংক্রমণ বিভিন্ন দেশে দ্রুত হারে বাড়ছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে এই ভ্যারিয়েন্টগুলো বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিশেষ করে ভারতসহ আশপাশের কয়েকটি দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইতোমধ্যে সতর্কতা জারি করেছে। সেই সঙ্গে প্রয়োজন ছাড়া এসব দেশে ভ্রমণ না করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে যেসব বিদেশি যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন, তাদেরও স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনা হচ্ছে।
তবে বিদেশ ফেরত অনেক যাত্রী বিমানবন্দরে ব্যবস্থাপনা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের অভিযোগ, ঝুঁকি কমাতে কর্তৃপক্ষের আরও সক্রিয় ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
এ বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম রাগীব সামাদ জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে বিমানবন্দরে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে বেনাপোল স্থলবন্দরেও একই সতর্কতা দেখা গেছে। ইমিগ্রেশনে আগত যাত্রীদের করোনা উপসর্গ রয়েছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বিশ্বব্যাপী একসময় তাণ্ডব চালানো করোনা ভাইরাস নতুন রূপে আবারও হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে—এই আশঙ্কা থেকেই সরকার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।