কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জেরে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযানের দ্বিতীয় দিনে প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়েছে তারা। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভারতশাসিত কাশ্মীরের উধমপুরে এক সেনা (জওয়ান) নিহত হয়েছেন। এখনও গোলাগুলি চলছে।
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশ্মীরের উধমপুরে নিরাপত্তা বাহিনী ও উগ্রপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন জওয়ান নিহত হয়েছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর হোয়াইট নাইট কোর এ তথ্য জানিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্টে সেনা ইউনিটটি বলেছে, ‘আমাদের একজন সাহসী সৈনিক সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন এবং তাকে চিকিৎসা দেওয়া হলেও পরে তিনি মারা যান। সংঘর্ষ এখনও চলছে।’
গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাশ্মীরের পহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৬ পর্যটক নিহত হয়েছেন। কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স নামের গোষ্ঠীটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা এক বার্তায় হামলার দায় স্বীকার করেছে।
এদিকে এ ঘটনায় ভারতের প্রতিক্রিয়ায় দক্ষিণ এশিয়ায় আবারও যুদ্ধের শঙ্কা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে দিলেও এখন পর্যন্ত দিল্লি কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি। কিন্তু ভারতের সেনাবাহিনী ও সরকারের কড়া পদক্ষেপে এ প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে—এই সংঘাত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? শেষ পর্যায়ে কি পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার পর্যন্ত গড়াতে পারে?
হামলার পর পরই ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, কেবল সন্ত্রাসীদের নয়, তাদের পেছনের পরিকল্পনাকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপর থেকেই সীমান্তে সেনা মোতায়েন বাড়ানো হয়েছে, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত পারাপার, এমনকি ভারত একতরফাভাবে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করার ঘোষণাও দিয়েছে।