কুমিল্লার মুরাদনগরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সমর্থকদের ওপর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্র জনতা বিক্ষোভ মিছিল করেছে কুমিল্লা নগরীতে।
বুধবার (৩০ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর পুলিশ লাইন মোড় থেকে মিছিলটি বের করেন তারা। পরে কান্দিপাড় পূবালী চত্বরে গিয়ে তারা এক সমাবেশে মিলিত হন।
এর আগে, এ দিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মুরাদনগর উপজেলা সদরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও তার পরিবারের নামে মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে কায়কোবাদের সমর্থকরা আসিফ সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাংবাদিক ও দুইপক্ষের সমর্থকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এ সময় মিছিলে নেতৃত্ব দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেত্রী হাফসা জাহান, কুমিল্লা মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী মো. সিরাজুল হক, জেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী সৈয়দ আহসান টিটু, ইব্রাহীম খালিদ হাসান, মহানগর যুগ্ম সমন্বয়কারী মাছুমুল বারী কাউসার প্রমুখ।
এ বিষয়ে পূবালী চত্বরের বক্তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা ও ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং তার পরিবারের নামে মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে আয়োজিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশে কায়কোবাদের সমর্থকরা বিনা উসকানিতে হামলা চালায়। এ সময় তারা গণমাধ্যাম কর্মীদের ওপরও হামলা করে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বক্তারা আরও বলেন, পূবালী চত্বর থেকে আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, হামলা করে মিথ্যাকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন না। আজ ছাত্র-জনতার ওপর যারা ন্যক্কারজনক হামলা করেছে তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান বক্তারা।