নেত্রকোনার কেন্দুুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে চিকিৎসকসহ জনবল সংকটের ফলে কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলছে না। স্বাস্থ্য বিভাগের ১৬৪টি পদ শূন্য থাকায় জোড়াতালি দিয়ে দৈনন্দিন স্বাস্থ্যসেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। দীর্ঘদিন ধরে এসব পদ শূন্য থাকার ফলে আশানুরূপ সেবা থেকে বঞ্চিত কেন্দুুয়াবাসী।
জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার পাশাপাশি সিজারিয়ান অপারেশনসহ আরও কয়েকটি আধুনিক সেবা চালু হওয়ায় সেবা প্রার্থীদের ভিড় বেড়েছে। এজন্য শয্যা সংকটে ভর্তিকৃত রোগীরা পড়েন চরম বিপাকে। এতে ২১২ পদ রয়েছে। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগসহ ৩৩১টি পদের মধ্যে ১৬৪ পদেই শূন্য। প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল সহকারী, টেকনিশিয়ান না থাকায় রোগী সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মরত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও নার্সরা। প্রয়োজনীয় সংখ্যক পরিচ্ছন্নতাকমী না থাকায় প্রায়শই অপরিষ্কার থাকে হাসপাতালটি। চালক না থাকায় প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ এম্বুলেন্স সার্ভিস। দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জনবল সংকটের বিষয়টি বার বার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও তেমন সাড়া পাচ্ছেন না বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এবাদুর রহমান।
তিনি বলেন, জনবল সংকটের ফলে ৩ জনের কাজ একজনকে করতে হয়। কয়দিন আগে অন্য হাসপাতাল থেকে একজন চালককে শাস্তিমূলক আমাদের দিয়েছেন। কিন্তু তাকে দিয়ে এম্বুলেন্স সার্ভিস চালানো সম্ভব না। প্রথম দিন গাড়ি নিয়েই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন। জনবলের অভাবে আমদেরও সেবা প্রার্থীদের আশানুরূপ সেবা দিতে সম্ভব হয় না।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শফিউল আলম জানান, আমার এখানে সবচেয়ে বেশি জনবল সংকট ৭৪ জন পরিবার কল্যাণ সহকারী মধ্যে আছেন ২৫ জন। আমরা কীভাবে দৈনন্দিন কাজ সামাল দেই বলে বুঝানো যাবে না। উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম বলেন, দিনদিন হাসপাতালে সেবা প্রার্থী রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু জনবল সংকটের কারণে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। নেত্রকোনা সিভিল সার্জেন ডা. মো. সেলিম মিঞা জানান, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী নিয়োগের পরিকল্পনা চলছে। কিছুদিনের মধ্যে সার্কুলার দেবো। আর চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ বা পদায়নের সুযোগ আমাদের হাতে নেই। এগুলো পদে পদায়ন করে অধিদপ্তর।