বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে নিজেরাই টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। ভেবেছিলাম তারা নেতৃত্ব দেবে। অথচ তারা বলছে এক স্বৈরাচার গেছে আরেক স্বৈরাচার এসেছে। বিএনপির মধ্যে লুটপাট-দুর্নীতি নেই। মানুষ সবসময় বিএনপির পক্ষে।
আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ভারতে পালালেও রক্ষা পাবে না। গলায় গামছা দিয়ে নিয়ে আসব। টাকা নিয়ে গেছে। এখন ইলেকশনের চিন্তা ভাবনা করছে। গণহত্যা করেছে, টাকা চুরি করেছে, অথচ এখনও ক্ষমা চায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষমা চাওয়ার আগে বলেছে টুক করে ঢুকে পড়বে। ঘর থেকে এনে জনতার আদালতে বিচার শুরু হবে। বিচার শুরু করেছে এ সরকার, আসল বিচার করবে পরে সরকার।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্বাচন হলে তারেক রহমানের দল জয়লাভ করবে। প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রহমান।’
শামসুজ্জামান বলেন, ‘১৪ আর ১৮ সালে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। ৭২ ও ৭৫ আরেকটা কালো সময় ছিল। শেখ মুজিব নির্বিচারে ৫০ হাজার মানুষকে হত্যা করার জন্য বানিয়েছিলেন রক্ষীবাহিনী। দুর্ভিক্ষের সময় তিনি বলেছিলেন, আমি কিছু দিবার পারুম না। তখন ১০ লাখ মানুষ মারা গেছে।
শেখ মুজিব নয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন জিয়াউর রহমান উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি গণমানুষের দল, সেই জন্য সাধারণ মানুষ বিএনপিকে সবসময় সমর্থন করে। বেগম জিয়া মানুষ মেরে ক্ষমতায় কখনও আসেনি। জনগণের ভোটে আসছে। আগামীতেও বিএনপি মানুষের ভোটে ক্ষমতায় বসবে।’
এর আগে, সকালে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুর করিমের সভাপতিত্বে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল খালেক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবু হানিফ মুক্তা, জেলা মহিলাদলের সভাপতি ফোরাতুন নাহার প্যারিস, ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েসসহ অনেকে।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২৪ মে জেলা বিএনপির সম্মেলন হয়েছিল। সেই সম্মেলনে সভাপতি সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সাবেক পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমিন।
দীর্ঘ ৮ বছর পর আজ জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত সম্মেলনে কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে নতুন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন জেলার বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. পয়গাম আলী। আর সভাপতি প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় আগেই জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।