কুমিল্লার বিসিক শিল্পনগরী এলাকার একটি কারখানায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে সায়েম (২৪) নামের যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৩ আগস্ট) বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাতে নিহত সায়েমের বাবা বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সায়েম ও তার সহযোগিরা বিসিক শিল্প এলাকার বিভিন্ন ফ্যাক্টরি থেকে মাঝে মাঝেই চাঁদা সংগ্রহ করতো। এছাড়া চুরি ছিনতাইয়ের সঙ্গেও সে জড়িত ছিল। বৃহস্পতিবার সায়েম বিসিকের ফুলমতি ভবনের জান্নাত ফুড ফ্যাক্টরিতে চাঁদার জন্য যায়। এসময় ফ্যাক্টরির লোকজন তাকে ওই ভবনে মারধর করে আটকে রাখে। পরবর্তীতে সায়েমের সঙ্গীরা সেখানে গিয়ে হট্টগোল করে। পরবর্তীতে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে রাতে পুনরায় সায়েমের হাত পা বেঁধে মারধর করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, গণপিটুনিতে নিহত সায়েমের বাবা আমিনুল ইসলামের মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর অশোকতলা এলাকার বিসিক শিল্পনগরীর ফুলমতি ভবনের জান্নাত ফুড ফ্যাক্টরিতে সায়েম নামে এক যুবককে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত সায়েম নগরীর অশোকতলা এলাকার ভাড়াটিয়া অটোরিকশাচালক আমিনুল ইসলামের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি রংপুর জেলায়।