ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরনে মারা গেছেন রিকশাচালক হান্নান

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে লাগা আগুনে শিশুসহ ৮ জন দগ্ধের ঘটনায় রিকশাচালক হান্নান (৫০) মারা গেছেন।গত শুক্রবার (৭ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শ্বাসনালীসহ হান্নানের শরীরে ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। ইনস্টিটিউটের ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছিল তাকে। সেখানেই মারা গেছেন তিনি।

তিনি  জানান, এই ঘটনায় হান্নানের স্ত্রী লাকির শরীরে ২২ শতাংশ দগ্ধ, মেয়ে জান্নাত ৩, সামিয়ার ৭, ছেলে সাব্বিরের ২৭, প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া সোহাগের ৪০, তার স্ত্রী রুপালি ৩৪ ও মেয়ে সুমাইয়ার ৪৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

গত রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি ২ নাম্বার চেয়ারম্যান অফিসের পাশে একটি টিনসেড বাসায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওইদিন মধ্যরাতে হঠাৎ করেই গ্যাস লাইন থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে টিনশেড ঘরে। এ সময় দুটি কক্ষে থাকা ৮ জনই দগ্ধ হন। ওইদিন ভোরে তাদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়।

দগ্ধরা হলেন, রিকশাচালক হান্নান (৫০), তার স্ত্রী লাকি আক্তার (৩৫), মেয়ে জান্নাত আক্তার নুরজাহান (৪), মেয়ে সামিয়া আক্তার রিম (১১) ও ছেলে সাব্বির (১২)। আরেক পরিবারে পোশাক শ্রমিক সোহাগ (২৩), তার স্ত্রী রুপালি (২০) ও তাদের একমাত্র দেড় বছর বয়সী মেয়ে সুমাইয়া দগ্ধ হন‌।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরনে মারা গেছেন রিকশাচালক হান্নান

আপডেট সময় ১২:২৬:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে লাগা আগুনে শিশুসহ ৮ জন দগ্ধের ঘটনায় রিকশাচালক হান্নান (৫০) মারা গেছেন।গত শুক্রবার (৭ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শ্বাসনালীসহ হান্নানের শরীরে ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। ইনস্টিটিউটের ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছিল তাকে। সেখানেই মারা গেছেন তিনি।

তিনি  জানান, এই ঘটনায় হান্নানের স্ত্রী লাকির শরীরে ২২ শতাংশ দগ্ধ, মেয়ে জান্নাত ৩, সামিয়ার ৭, ছেলে সাব্বিরের ২৭, প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া সোহাগের ৪০, তার স্ত্রী রুপালি ৩৪ ও মেয়ে সুমাইয়ার ৪৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

গত রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি ২ নাম্বার চেয়ারম্যান অফিসের পাশে একটি টিনসেড বাসায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওইদিন মধ্যরাতে হঠাৎ করেই গ্যাস লাইন থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে টিনশেড ঘরে। এ সময় দুটি কক্ষে থাকা ৮ জনই দগ্ধ হন। ওইদিন ভোরে তাদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়।

দগ্ধরা হলেন, রিকশাচালক হান্নান (৫০), তার স্ত্রী লাকি আক্তার (৩৫), মেয়ে জান্নাত আক্তার নুরজাহান (৪), মেয়ে সামিয়া আক্তার রিম (১১) ও ছেলে সাব্বির (১২)। আরেক পরিবারে পোশাক শ্রমিক সোহাগ (২৩), তার স্ত্রী রুপালি (২০) ও তাদের একমাত্র দেড় বছর বয়সী মেয়ে সুমাইয়া দগ্ধ হন‌।