ময়মনসিংহ , শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বিএনপি ভোটের মাঠে সঙ্গে চায় এনসিপিকে জামালপুর মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের ওপর হামলা যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই বললেন আমীর খসরু হাসিনাসহ ৩০ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাহিনী প্রধানদের কাছে ১২টি বাহিনীর দপ্তরে পাঠিয়েছে ট্রাইব্যুনাল বোরকা পরে জুয়েলারি দোকান থেকে ৫০০ ভরি স্বর্ণ চুরি রাজধানীতে বাংলাদেশ হামজা চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে দ্রুত সুপারিশ পেশ করবে ঐকমত্য কমিশন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক বিভাজন সোনালী ব্যাংক থেকে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর মরদেহ উদ্ধার চাঁদপুরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আজ সাক্ষ্য দেবেন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে টাইফয়েড ভ্যাকসিন পুরোপুরি হালাল বলেছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

গ্রেপ্তার হলেন আইনজীবী সাইফুল হত্যার প্রধান আসামি

  • স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় ১১:২২:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ১০৬ বার পড়া হয়েছে

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১২টার দিকে ভৈরব থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে রেলওয়ে স্টেশন থেকে আলোচিত আইনজীবী সাইফুল হত্যার প্রধান আসামি চন্দনকে গ্রেপ্তার করে। তিনি আইনজীবী সাইফুল হত্যা মামলার ১নং আসামি বলে জানায় পুলিশ। বর্তমানে চন্দনকে ভৈরব থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন মিয়া জানান, ঘটনার পর মামলা হলে প্রধান আসামি চন্দনকে ধরতে চট্টগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গত দুদিন ধরে ভৈরবে অবস্থান করছিল। ডিবি জানতে পারে আসামি চন্দনের শ্বশুরবাড়ি ভৈরব এলাকায়। কিন্তু ডিবি তার খোঁজ পাচ্ছিল না। বুধবার তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারে তিনি ভৈরবে অবস্থান করছেন। পরে এ খবর আমাদেরকে জানানো হলে পুলিশ সন্ধ্যার পর থেকে ভৈরব রেলস্টেশনে অবস্থান নেয়। রাত পৌনে ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে রেলস্টেশন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

তিনি আরও জানান, ট্রেন থেকে নেমে চন্দনের ভৈরবের মেথরপট্টিতে তার শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ নভেম্বর রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পরে আদালত থেকে কারাগারে নেয়ার পথে তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে দেয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা। তাদের সরিয়ে দিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে নেয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করে চিন্ময়ের সমর্থকরা।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- নগরের কোতোয়ালী থানার বান্ডেল রোড সেবক কলোনি এলাকার বাসিন্দা চন্দন, আমান দাস, শ্রী শুভ কান্তি দাস, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত দাস, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, ওমকার দাস, বিশাল, রাজকাপুর, লালা, সামির, সোহেল, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, শ্রী গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, দুর্লভ দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপি ভোটের মাঠে সঙ্গে চায় এনসিপিকে

গ্রেপ্তার হলেন আইনজীবী সাইফুল হত্যার প্রধান আসামি

আপডেট সময় ১১:২২:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১২টার দিকে ভৈরব থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে রেলওয়ে স্টেশন থেকে আলোচিত আইনজীবী সাইফুল হত্যার প্রধান আসামি চন্দনকে গ্রেপ্তার করে। তিনি আইনজীবী সাইফুল হত্যা মামলার ১নং আসামি বলে জানায় পুলিশ। বর্তমানে চন্দনকে ভৈরব থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন মিয়া জানান, ঘটনার পর মামলা হলে প্রধান আসামি চন্দনকে ধরতে চট্টগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গত দুদিন ধরে ভৈরবে অবস্থান করছিল। ডিবি জানতে পারে আসামি চন্দনের শ্বশুরবাড়ি ভৈরব এলাকায়। কিন্তু ডিবি তার খোঁজ পাচ্ছিল না। বুধবার তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারে তিনি ভৈরবে অবস্থান করছেন। পরে এ খবর আমাদেরকে জানানো হলে পুলিশ সন্ধ্যার পর থেকে ভৈরব রেলস্টেশনে অবস্থান নেয়। রাত পৌনে ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে রেলস্টেশন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

তিনি আরও জানান, ট্রেন থেকে নেমে চন্দনের ভৈরবের মেথরপট্টিতে তার শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ নভেম্বর রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পরে আদালত থেকে কারাগারে নেয়ার পথে তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে দেয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা। তাদের সরিয়ে দিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে নেয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করে চিন্ময়ের সমর্থকরা।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- নগরের কোতোয়ালী থানার বান্ডেল রোড সেবক কলোনি এলাকার বাসিন্দা চন্দন, আমান দাস, শ্রী শুভ কান্তি দাস, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত দাস, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, ওমকার দাস, বিশাল, রাজকাপুর, লালা, সামির, সোহেল, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, শ্রী গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, দুর্লভ দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য।