বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১২টার দিকে ভৈরব থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে রেলওয়ে স্টেশন থেকে আলোচিত আইনজীবী সাইফুল হত্যার প্রধান আসামি চন্দনকে গ্রেপ্তার করে। তিনি আইনজীবী সাইফুল হত্যা মামলার ১নং আসামি বলে জানায় পুলিশ। বর্তমানে চন্দনকে ভৈরব থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ট্রেন থেকে নেমে চন্দনের ভৈরবের মেথরপট্টিতে তার শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ নভেম্বর রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পরে আদালত থেকে কারাগারে নেয়ার পথে তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে দেয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা। তাদের সরিয়ে দিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে নেয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করে চিন্ময়ের সমর্থকরা।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- নগরের কোতোয়ালী থানার বান্ডেল রোড সেবক কলোনি এলাকার বাসিন্দা চন্দন, আমান দাস, শ্রী শুভ কান্তি দাস, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত দাস, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, ওমকার দাস, বিশাল, রাজকাপুর, লালা, সামির, সোহেল, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, শ্রী গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, দুর্লভ দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য।