চরফ্যাসন(ভোলা) প্রতিনিধিঃ
ভোলার চরফ্যাসনের দক্ষিণ আইচা থানার নজরুলনগর ইউনিয়নে স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে মেনে না নেয়ায় জান্নাত বেগম নামের এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পাষণ্ড-স্বামী মামুন হোসেনের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার ওই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের স্বামীর বসত ঘরে এ হত্যা কাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে নিহতের পরিবারের অভিযোগ। এঘটনায় দক্ষিণ আইচা থানা পুলিশ নিহত গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে গত শুক্রবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা মর্গে পাঠিয়েছেন। নিহত গৃহবধু জান্নাত ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. রফিক খাঁর মেয়ে।
নিহতের বাবা রফিক খাঁ জানান , গত তিন বছর আগে পরিবারিক ভাবে একই ইউনিয়নের সুলতান খাঁ’র ছেলে মামুনের সাথে তার মেয়ে জান্নাতের বিয়ে হয়। মেয়ের ঘরে কোন সন্তান ছিলোনা। মেয়ের সন্তান না হওয়ায় মেয়ের জামাতা মামুন প্রায় সময় আমার মেয়ে জান্নাতকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। এনিয়ে পরিবারিক ভাবে একাধিক বার শালিশ সমোঝতা হয়। গত দুই মাস আগে জামাতা মামুন গোপনে চরফ্যাসন থানার আমিনাবাদ ইউনিয়নের একটি মেয়েকে বিয়ে করে। স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে আমার মেয়ে জান্নাত প্রতিবাদ করে। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ শুরু হয়। জামাতার দ্বিতীয় বিয়ে মেনে না নেয়ায় জামাতা মামুন পথের কাঁটা সরাতে তার আত্মীয় স্বপন , রাকিব , তুহিন , জাফর ,নসু মিয়া , শাহিন ও দ্বিতীয় স্ত্রী সাথিসহ পরিকল্পিত ভাবে তার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এবং মৃতদেহ ঘরের মেঝেতে রেখে বাড়ি ছেড়ে পলিয়ে যান। জামাতার প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তিনি দক্ষিণ আইচা থানা পুলিশকে খবর দেন। এবং পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় লাশ উদ্ধার করে থানায় নেন। পরে শুক্রবার সকালে মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য ভোলা মর্গে পাঠান।
ঘটনার পরপরই গৃহবধুর স্বামী মামুন খাঁ পালিয়ে যাওয়ায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
দক্ষিন আইচা থানার ওসি মো. সাঈদ আহমেদ জানান, নিহত গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট পেলে মৃত্যুর আসল কারন জানা যাবে
আরো পড়ুন…