শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এবং হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এদিকে, নিহত কৃষক সেলিমের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বাড়িতে আনা হলে তার স্বজনরা ও এলাকার সাধারণ মানুষ ভিড় জমায়। পরে বাদ আছর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।নিহত সেলিম ৪ সন্তানের জনক। তিনি ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপর্জনক্ষম ব্যক্তি।
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন ও স্থানীয় বাসিন্দা ইমান হোসেন জানান, কৃষক সেলিমের সঙ্গে আজিজ কাজী ও জাহাঙ্গীর কবিরাজের গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে মাঠে ধান রোপন নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ থেকে পরিকল্পনা করে জুমআর নামাজের পরেই সেলিমের ওপর হামলা চালিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
নিহত সেলিমের স্ত্রী বিলকিস বেগম ও মেয়ে শারমিন জানান, পরিকল্পনা করে আলিমুজ্জামানের ছেলে চানমিয়া, আজিজ, তারা মিয়া ও নুরু মিয়া, আব্দুর রবের ছেলে আকবর, আনিস, আনিছের ছেলে জাহাঙ্গীর, রোশেদ, মেহেদী, মোতালেব কাজীর ছেলে রিয়াদ, খালেকের ছেলে নাছিরসহ প্রায় ৩০ জন হামলা চালিয়ে সেলিমকে হত্যা করে।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন ফারুক জানান, বিষয়টি জেনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পরে রাতেই নাকি অভিযুক্ত একজনের বসতঘর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সেটাও আমরা তদন্ত করে দেখবো।