গতকাল (১১ মার্চ) দুপুর ১২টা নাগাদ হাসপাতালের সেমিনার কক্ষে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আন্তঃবিভাগীয় স্বাস্থ্যসেবা চালুকরণ সংক্রান্ত এক সমন্বয় সভায় এমন ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান।
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. আনোয়ারুল কবীর বলেন, ‘আমাদের কাছে খুব বেশি গতি আশা করলে ভুল হবে। হাসপাতাল চালু করতে হলে লোকবল, যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র, মেডিসিন সব কিছুই প্রয়োজন হবে। তাই পর্যায়ক্রমে হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গ আকারে চালু করা হবে।’
২০১১ সালে কুষ্টিয়া শহরের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলে (ম্যাটস) অস্থায়ীভাবে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। মূল ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় ২০২২ সালের এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে। সেখানে ছয়তলা একাডেমিক ভবন, দুটি চারতলা হোস্টেল, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য ডরমিটরি, মসজিদসহ বেশ কয়েকটি ভবন হস্তান্তর করা হয়। তবে হাসপাতালের সেবা চালু না থাকায় শিক্ষার্থীদের প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে যেতে হয়। এতে তাদের অতিরিক্ত খরচ ও ভোগান্তি বাড়ে।
এ অবস্থায় হাসপাতালটি পুরোপুরি চালুর দাবিতে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন মহল দীর্ঘদিন ধরে নানা আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়েছিল। সর্বশেষ গত ১০ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালটি পুরোপুরি চালুর দাবিতে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরোধ করে রেখে ছিলেন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ ২০ দিনের মধ্যে শিশু ও মেডিসিন বিভাগ চালু করার আশ্বাস প্রদান করেন।