ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে এক নারী শিক্ষার্থীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য। বিষয়টি এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তপ্ত আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বামপন্থি সমর্থিত প্যানেল ‘অপরাজেয় ৭১’ ও ‘অদম্য ২৪’-এর প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলম বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত জিএস পদপ্রার্থী এস. এম. ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট করেন। এর পরপরই ঢাবির শিক্ষার্থী আলী হুসেন ফেসবুকে ওই নারী প্রার্থীকে গণধর্ষণের হুমকি দেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইতে থাকে।
অন্যদিকে ছাত্রদল বলছে, নারী প্রার্থীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া ওই শিক্ষার্থী আসলে ছাত্রশিবিরের নেতা। এ অভিযোগকে কেন্দ্র করে সংগঠনটি দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
বিবৃতিতে আরও অভিযোগ করা হয়, অতীতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সময়ে নারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সাইবার হয়রানি, শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের মতো অপরাধে জড়িত ছিল। উদাহরণ হিসেবে ২০০২ সালে বুয়েট শিক্ষার্থী সাবেকুন্নাহার সনি হত্যা এবং একই বছরে ঢাবির শামসুন্নাহার হলে শতাধিক নারী শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা উল্লেখ করে শিবিরের নেতারা দাবি করেন, ‘যে সংগঠনের ইতিহাস এমন অপরাধে কলঙ্কিত, তারা এখন নারী নিরাপত্তার প্রশ্নে বড়াই করছে।’
ছাত্রশিবির আরও জানায়, অভিযুক্ত আলী হুসেনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ তারাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দিয়েছে। সংগঠনটির দাবি, নারী শিক্ষার্থীদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা রক্ষায় তারা সবসময় কঠোর অবস্থানে থেকেছে।
শেষে ছাত্রদলকে উদ্দেশ্য করে শিবির নেতারা সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, ‘শিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালানো থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনো ঘটনার সঙ্গে আমাদের নাম টেনে সস্তা রাজনীতি করলে শিক্ষার্থীরাই তা প্রতিহত করবে।’