ময়মনসিংহ , বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নীতিশ কুমার আজ থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়কের আদলে চলার আহ্বান খসরুর এই রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে বললেন বদিউল আলম মজুমদার সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে , ট্রাকচালকসহ ৪ জন কারাগারে খায়রুল হকের রায়ে পরতে পরতে ভুল ছিল বললেন ব্যারিস্টার কাজল পুলিশের ওপর হামলা বাড়লে ঘরবাড়ি নিজেরাই পাহারা দিতে হবে বললেন ডিএমপি কমিশনার একই স্থানে বিএনপির দুই গ্রুপের কর্মসূচিতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা কুমিল্লায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা : আমির খসরু তারেক রহমান জন্মদিনে নারীদের ৫ প্রতিশ্রুতি দিলেন সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না বললেন শফিকুল আলম
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

ছাত্রলীগ নেতাকে কফিশপ থেকে ধরে পুলিশে দিলেন শিক্ষার্থীরা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • ১১৪ বার পড়া হয়েছে

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করা হয়েছে।গতকাল সোমবার (১২ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সংলগ্ন একটি কফিশফ থেকে তাকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সহায়তায় তাকে ইবি থানায় সোপর্দ করা হয়।

এ সময় থানায় আটক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এক শিক্ষার্থী। তিনি ওই ছাত্রলীগ নেতার হাতে গত বছরের জুন মাসে হলে ডেকে নিয়ে মারধর ও ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

থানায় অভিযোগকারী ওই শিক্ষার্থীর নাম খাইরুল ইসলাম সৌরভ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আটক ছাত্রলীগ নেতার নাম সায়মুম খান। তিনি ইবি শাখা ছাত্রলীগের কৃষিশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

খাইরুল ইসলাম জানান, গত বছরের ৫ জুন তার সহপাঠী সিফাত সিদ্দিকীর মাধ্যমে শেখ রাসেল হলের (বর্তমান নাম শহীদ আনাস হল) ৪০৩ নম্বর কক্ষে তাকে ডেকে নেন সায়মুম হাসান। কক্ষে আসলে কথা বলার অজুহাতে তাকে হলের ছাদে নিয়ে যান সায়মুম। এ সময় সায়মুম খাইরুলকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন এবং তাকে বেপরোয়াভাবে মারধর করতে থাকেন।

পরে সিঁড়ি দিয়ে পালানোর সময় তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এ সময় তার হাতে আঘাত পেয়ে রক্তক্ষরণ হয়। পরে এই ঘটনার বিচার চেয়ে তৎকালীন প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী খাইরুল। তবে ওই সময় এ ঘটনার কোনো বিচার পাননি বলে জানান তিনি।

জানা যায়, সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন একটি কফিশপে বান্ধবীর সঙ্গে ছিলেন সায়মুম খান। পরে সেখানে তার অবস্থানের বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষার্থীরা সেখানে গিয়ে তাকে ধরে ফেলেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মিজানের সহায়তায় তাকে ইবি থানায় সোপর্দ করা হয়।

খাইরুল বলেন, আমাকে গত বছর ছাদে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় এবং ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। আমি ওই সময় প্রক্টরের নিকট অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি। তাই আমি এবার থানায় অভিযোগ দিয়েছি।

এ বিষয়ে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, শিক্ষার্থীরা ওই ছেলেকে আমাদের হাতে সোপর্দ করে। আমরা জানতে পেরেছি সে (সায়মুম খান) নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের পোস্টেড নেতা। ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে জড়িত দেখিয়ে তাকে কোর্টে চালান করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নীতিশ কুমার

ছাত্রলীগ নেতাকে কফিশপ থেকে ধরে পুলিশে দিলেন শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় ১০:২২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করা হয়েছে।গতকাল সোমবার (১২ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সংলগ্ন একটি কফিশফ থেকে তাকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সহায়তায় তাকে ইবি থানায় সোপর্দ করা হয়।

এ সময় থানায় আটক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এক শিক্ষার্থী। তিনি ওই ছাত্রলীগ নেতার হাতে গত বছরের জুন মাসে হলে ডেকে নিয়ে মারধর ও ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

থানায় অভিযোগকারী ওই শিক্ষার্থীর নাম খাইরুল ইসলাম সৌরভ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আটক ছাত্রলীগ নেতার নাম সায়মুম খান। তিনি ইবি শাখা ছাত্রলীগের কৃষিশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

খাইরুল ইসলাম জানান, গত বছরের ৫ জুন তার সহপাঠী সিফাত সিদ্দিকীর মাধ্যমে শেখ রাসেল হলের (বর্তমান নাম শহীদ আনাস হল) ৪০৩ নম্বর কক্ষে তাকে ডেকে নেন সায়মুম হাসান। কক্ষে আসলে কথা বলার অজুহাতে তাকে হলের ছাদে নিয়ে যান সায়মুম। এ সময় সায়মুম খাইরুলকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন এবং তাকে বেপরোয়াভাবে মারধর করতে থাকেন।

পরে সিঁড়ি দিয়ে পালানোর সময় তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এ সময় তার হাতে আঘাত পেয়ে রক্তক্ষরণ হয়। পরে এই ঘটনার বিচার চেয়ে তৎকালীন প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী খাইরুল। তবে ওই সময় এ ঘটনার কোনো বিচার পাননি বলে জানান তিনি।

জানা যায়, সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন একটি কফিশপে বান্ধবীর সঙ্গে ছিলেন সায়মুম খান। পরে সেখানে তার অবস্থানের বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষার্থীরা সেখানে গিয়ে তাকে ধরে ফেলেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মিজানের সহায়তায় তাকে ইবি থানায় সোপর্দ করা হয়।

খাইরুল বলেন, আমাকে গত বছর ছাদে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় এবং ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। আমি ওই সময় প্রক্টরের নিকট অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি। তাই আমি এবার থানায় অভিযোগ দিয়েছি।

এ বিষয়ে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, শিক্ষার্থীরা ওই ছেলেকে আমাদের হাতে সোপর্দ করে। আমরা জানতে পেরেছি সে (সায়মুম খান) নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের পোস্টেড নেতা। ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে জড়িত দেখিয়ে তাকে কোর্টে চালান করা হবে।