পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ৪৩ জন নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত আটটার দিকে উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এ ঘোষণা দেন।
একইসঙ্গে তারা জেলা কমিটির বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেন,‘পকেট কমিটি’ গঠন ও অযোগ্য ব্যক্তিদের পদ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।
এর আগে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদ দশমিনা উপজেলা কমিটির অনুমোদন দেয়। ৫১ সদস্যের ওই কমিটিতে সভাপতি হন মাসুদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হাসান মামুন। জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মহসিন ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল মাহমুদ উপজেলা কমিটির অনুমোদন দেন। বর্তমানে ওই কমিটিতে মাত্র ৮ জন সদস্য রয়েছেন।
নেতাকর্মীরা জানান, নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকেই উপজেলা পর্যায়ে দ্বন্দ্ব ও ক্ষোভ দেখা দেয়।
কমিটির দপ্তর সম্পাদক হাসান মাহমুদ বলেন, ‘বর্তমান সাধারণ সম্পাদক হাসান মামুন এর আগে জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সহসাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু তাকে হুট করে উপজেলা সাধারণ সম্পাদক করা হয়। জেলা কমিটির নেতারা উপজেলা নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই রাতারাতি কমিটি করেছেন। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে অযোগ্য ব্যক্তিদের পদ দেওয়া হয়েছে। এ কারণে ৯০ শতাংশ নেতা-কর্মীর মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। তাই সংবাদ সম্মেলন করে আমি নিজে ও আরও ৪৩ জন নেতাকর্মী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি।’
এ বিষয়ে জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মহসিন ইসলাম বলেন, ‘দপ্তর সম্পাদক করার পর হাসান মাহমুদ সংগঠনবিরোধী কাজে জড়িয়ে পড়েন, তাই তাঁকে নোটিশ দেওয়া হয়। এর পর থেকেই তিনি কমিটি নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। কমিটির ৪৩ জন পদত্যাগ করেছে, এ তথ্য সঠিক নয়। মিডিয়া ট্রায়ালের জন্য এ দাবি করা হচ্ছে। কমিটি গঠনে কোনো অনিয়ম হয়নি।’