ময়মনসিংহ , সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
সাবেক আইজিপি মামুনের খালাস চেয়ে আপিল হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৯ প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হবে বললেন প্রধান উপদেষ্টা সাকিব আল হাসান টি-২০তে ৪৫ বার ম্যাচসেরা , ওপরে মাত্র তিনজন ছায়ানট-উদীচীতে হামলা: প্রতিবাদ লন্ডনে গানে গানে অনুমতি দিলো ইসরায়েল পশ্চিম তীরে নতুন ১৯টি বসতি স্থাপনের এখন পুলিশও জরিমানা করবে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আনতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু রিমান্ডে নেওয়ার সময় কারাগারে কার্যক্রম রাকসু জিএস আম্মারের আচরণ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শামিল জানিয়েছে ছাত্রদল অ্যাটর্নি জেনারেল ধানের শীষে ভোট করার ঘোষণা দিলেন
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

ছায়ানট-উদীচীতে হামলা: প্রতিবাদ লন্ডনে গানে গানে

  • ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫৮:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

ঢাকায় দেশের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী ও ছায়ানট ভবনে নৃশংস ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে লন্ডনের আলতাব আল পার্কস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত রোববার (২১ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় লন্ডনের সাংস্কৃতিক কর্মীদের এই প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে দর্শক সারিতে দেখা গেছে শতাধিক মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন যুক্তরাজ্যের সংস্কৃতিক কর্মী ঊর্মি মাজহার ও গায়ক চিকিৎসক ইমতিয়াজ আহমেদ।

শিশু কিশোরদের কণ্ঠে ‘ফিরে চল মাটির টানে’ ও ‘মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম’ গান দুটি পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

ছায়ানটে হামলার ঘটনায় ধিক্কার জানিয়ে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘দেশের অন্যতম বৃহৎ সঙ্গীত বিদ্যায়তন ছায়ানট, উদীচী এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের উপর হামলা আমাদের জাতিসত্তার, আমাদের মানবিক চেতনার উপর আঘাত বলেই আমরা মনে করছি।’

সরকারের কাছে বিচার দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এই ঘটনার বিচার প্রার্থনা করছি। অন্যথায় আমাদের প্রতিবাদ, প্রতিরোধ জারি থাকবে।’

ঊর্মি মাজহার বলেন, ‘গত এক বছরের বেশি সময় ধরে আমরা লক্ষ্য করছি বাউল, লোকসঙ্গীতসহ অন্যান্য শিল্পীদের উপর বিভিন্ন সময়ে ক্রমাগত হামলা হয়েছে। কিন্তু এর মাধ্যমে আমাদের কণ্ঠ রোধ করা যাবে না। এক কণ্ঠ হাজার কণ্ঠ হয়ে প্রতিবাদ করছে। সরকারকে বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় সচেষ্ট হতে হবে।’

সমাবেশে যুক্তরাজ্যে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত আরও কয়েকজন বক্তব্য রাখেন।

তাদের মধ্যে ছিলেন লুসি রহমান, হিমাংশু গোস্বামী, হাবিব রহমান, সৈয়দ নাহাস পাশা, গোলাম মোস্তফা, নুরুল ইসলাম, গোপাল দাস, মৃত্তিকা সংহিতা অথই, শামীম চৌধুরী, হামিদ মোহাম্মদসহ আরো কয়েকজন।

যুক্তরাজ্যের সকল সাংস্কৃতিক কর্মীদের এই ঐক্য আগামী দিনগুলোতেও সকল সাংস্কৃতিক আন্দোলনে বজায় থাকার অঙ্গীকার এসেছে এই প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে।

সমাবেশের সমাপ্তি হয় জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক আইজিপি মামুনের খালাস চেয়ে আপিল

ছায়ানট-উদীচীতে হামলা: প্রতিবাদ লন্ডনে গানে গানে

আপডেট সময় ১১:৫৮:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫

ঢাকায় দেশের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী ও ছায়ানট ভবনে নৃশংস ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে লন্ডনের আলতাব আল পার্কস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত রোববার (২১ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় লন্ডনের সাংস্কৃতিক কর্মীদের এই প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে দর্শক সারিতে দেখা গেছে শতাধিক মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন যুক্তরাজ্যের সংস্কৃতিক কর্মী ঊর্মি মাজহার ও গায়ক চিকিৎসক ইমতিয়াজ আহমেদ।

শিশু কিশোরদের কণ্ঠে ‘ফিরে চল মাটির টানে’ ও ‘মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম’ গান দুটি পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

ছায়ানটে হামলার ঘটনায় ধিক্কার জানিয়ে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘দেশের অন্যতম বৃহৎ সঙ্গীত বিদ্যায়তন ছায়ানট, উদীচী এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের উপর হামলা আমাদের জাতিসত্তার, আমাদের মানবিক চেতনার উপর আঘাত বলেই আমরা মনে করছি।’

সরকারের কাছে বিচার দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এই ঘটনার বিচার প্রার্থনা করছি। অন্যথায় আমাদের প্রতিবাদ, প্রতিরোধ জারি থাকবে।’

ঊর্মি মাজহার বলেন, ‘গত এক বছরের বেশি সময় ধরে আমরা লক্ষ্য করছি বাউল, লোকসঙ্গীতসহ অন্যান্য শিল্পীদের উপর বিভিন্ন সময়ে ক্রমাগত হামলা হয়েছে। কিন্তু এর মাধ্যমে আমাদের কণ্ঠ রোধ করা যাবে না। এক কণ্ঠ হাজার কণ্ঠ হয়ে প্রতিবাদ করছে। সরকারকে বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় সচেষ্ট হতে হবে।’

সমাবেশে যুক্তরাজ্যে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত আরও কয়েকজন বক্তব্য রাখেন।

তাদের মধ্যে ছিলেন লুসি রহমান, হিমাংশু গোস্বামী, হাবিব রহমান, সৈয়দ নাহাস পাশা, গোলাম মোস্তফা, নুরুল ইসলাম, গোপাল দাস, মৃত্তিকা সংহিতা অথই, শামীম চৌধুরী, হামিদ মোহাম্মদসহ আরো কয়েকজন।

যুক্তরাজ্যের সকল সাংস্কৃতিক কর্মীদের এই ঐক্য আগামী দিনগুলোতেও সকল সাংস্কৃতিক আন্দোলনে বজায় থাকার অঙ্গীকার এসেছে এই প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে।

সমাবেশের সমাপ্তি হয় জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে।