ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
গোলাম আজম যদি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হয়, তাহলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানটা কোথায় বললেন মির্জা আব্বাস হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল জানান বড় ভাই ওমর ফারুক আওয়ামী লীগ ৩ বার ক্ষমতায় এসে কাড়ি কাড়ি লাশ উপহার দিয়েছে বললেন জামায়াত আমির মওলানা ভাসানী- ওসমান হাদির ছবি ধানমন্ডি বত্রিশে টাঙানো হলো লাখো নেতাকর্মীর ঢল জামায়াতের যুব ম্যারাথনে নতুন ধারায় রাজনীতি শুরু করতে চাই বললেন জামায়াত আমির জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল,বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি জাতির শ্রদ্ধা ‘এয়ার শো’ দেখতে মানুষের ঢল পুরোনো বিমানবন্দরে প্রতিপক্ষ পেছন দিক থেকে আঘাত করার অপচেষ্টা করছে বললেন রিজওয়ানা হাসান নতুন মুক্তিযোদ্ধা ৮৪,২৮ জনের নাম মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী তালিকায়
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল,বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি জাতির শ্রদ্ধা

  • ডিজিটাল রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১২:০৬:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

মহান বিজয় দিবস আজ। বাঙালি জাতির হাজার বছরের বীরত্বগাথার এক গৌরবময় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশ ঘটে। দিবসটির প্রথম প্রহরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা। এরপর স্মৃতিসৌধের প্রবেশদ্বার সর্বস্তরের মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে লাখো শহীদের আত্মত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার স্মরণে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সকাল ৬টা ৩১ মিনিটে তিনি শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদদের সম্মানে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

এরপর জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঢল নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে ওঠে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এ উপলক্ষে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে শুধু একটি দিন নয়, এটি বিজয়, স্বাধীনতা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের অবসান ঘটে এবং অর্জিত হয় কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। বিজয় দিবস বাঙালি জাতির প্রতিটি প্রজন্মকে দেশপ্রেম, ত্যাগ ও দায়বদ্ধতার চিরন্তন বার্তা স্মরণ করিয়ে দেয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

গোলাম আজম যদি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হয়, তাহলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানটা কোথায় বললেন মির্জা আব্বাস

জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল,বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি জাতির শ্রদ্ধা

আপডেট সময় ১২:০৬:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

মহান বিজয় দিবস আজ। বাঙালি জাতির হাজার বছরের বীরত্বগাথার এক গৌরবময় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশ ঘটে। দিবসটির প্রথম প্রহরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা। এরপর স্মৃতিসৌধের প্রবেশদ্বার সর্বস্তরের মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে লাখো শহীদের আত্মত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার স্মরণে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সকাল ৬টা ৩১ মিনিটে তিনি শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদদের সম্মানে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

এরপর জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঢল নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে ওঠে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এ উপলক্ষে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে শুধু একটি দিন নয়, এটি বিজয়, স্বাধীনতা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের অবসান ঘটে এবং অর্জিত হয় কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। বিজয় দিবস বাঙালি জাতির প্রতিটি প্রজন্মকে দেশপ্রেম, ত্যাগ ও দায়বদ্ধতার চিরন্তন বার্তা স্মরণ করিয়ে দেয়।