চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান, নির্বাচনের জন্য সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা এবং ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও ১৪–দলীয় জোটের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
সূত্র জানায়, যুগপৎ কর্মসূচিতে যুক্ত হচ্ছে—জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ ও আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিস, নূরুল হকের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদ, মজিবুর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি এবং সরওয়ার কামাল আজিজীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি।
এ বিষয়ে জামায়াতের এক শীর্ষ নেতা যুগপৎ কর্মসূচির সিদ্ধান্তের কথা স্বীকার করেছেন। এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘এনসিপি গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন চায়। অন্য কয়েকটি দল সরাসরি গণপরিষদ নির্বাচনের কথা না বললেও জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির বিষয়ে একমত। অভিন্ন ইস্যুতে যুগপৎ আন্দোলনের আলোচনা চলছে, তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’
দলগুলোর নেতারা জানিয়েছেন, তারা প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময় অনুযায়ী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন চান এবং তা জুলাই সনদের ভিত্তিতে চান।
তবে পিআর পদ্ধতি নিয়ে আট দলের মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে। কেউ সংসদের নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষ উভয়ক্ষেত্রে পিআর চান, আবার কেউ কেবল উচ্চকক্ষেই পিআর চান। ফলে দলগুলো নিজেদের মতো করে পিআরের দাবি উপস্থাপন করবে।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আট দলের নেতারা একমত হয়েছেন। তাদের মতে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলে ফ্যাসিবাদের দোসর জাপা ও ১৪–দলীয় জোটভুক্ত দলের কার্যক্রমও নিষিদ্ধ হওয়া উচিত।
জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন ও এনসিপিসহ কয়েকটি দল এর আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন ও মৌলিক সংস্কারের দাবি জোরালোভাবে তুলেছিল। এবার তারা আটদলীয় জোটে অভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামতে চলেছে।