জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, কো-চেয়ারম্যান ও রংপুরের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ জাতীয় পার্টি ও অঙ্গসংগঠনের ১৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রংপুরের সংগঠক আলমগীর রহমান নয়ন।
গত শনিবার (৩১ মে) রাতে রংপুর নগরীর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমানের কাছে মামলার জন্য একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন আলমগীর রহমান নয়ন। এরপর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
নগরীর কোতোয়ালি ওসি আতাউর রহমান বলেন, এজাহার গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে রংপুর প্রেসক্লাব চত্বর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একদল শিক্ষার্থী আওয়ামী দোসর ‘জাতীয় পার্টির অপতৎপরতা রুখে দাঁড়াও ও মামলার আসামি ফ্যাসিস্টের দোসর জিএম কাদেরকে গ্রেপ্তার করো’ দাবিতে একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গ্র্যান্ড হোটেল মোড় হয়ে সেনপাড়া চৌরাস্তা মোড়ের দিকে যাওয়ার সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নির্দেশে তার সমর্থকরা তাদের মিছিলে হামলা চালায়। এ সময় তাদের চারজন নেতাকর্মী আহত হন।
লিখিত অভিযোগে নাম থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, কো-চেয়ারম্যান ও রংপুরের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ইয়াসির, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাজী আ. রাজ্জাক, মহানগর কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি লোকমান হোসেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাহুল ইসলাম মিলন চৌধুরী,মহানগরের সহ সাধারণ সম্পাদক ফুজি বেলাল, কেন্দ্রীয় ছাত্র সমাজের সদস্য সচিব আরিফ আলী,মহানগর যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আহমেদ,মহানগর শ্রমিক পার্টির সভাপতি রাজু আহমেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি ফারুক মন্ডল, মহানগর ছাত্রসমাজের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, জেলা কমিটির সভাপতি আরিফুল ইসলাম, সহসভাপতি মঈন, মহানগর যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক হীরা, জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আজমল হোসেন লেবু, সদস্য জুলফিকার আজিজ খান ভুট্টো, ছাত্র সমাজের মহানগর কমিটির সদস্য নাহিদ হাসান শাওন। এ ছাড়া লিখিত অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আরও ৮০/৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে।