জুলাই সনদ একটি গভীর রাজনৈতিক সংস্কারের রূপরেখা যাতে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো এমন কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাবের সাথে বৈঠকে এ কথা বলেন।
আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেন অধ্যাপক ড. ইউনূস।
ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাবের সাথে বৈঠকে ড. ইউনূস আরও বলেন, নির্বাচনে যাতে ১২ কোটি ৬০ লাখ ভোটার শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পারেন তার ব্যবস্থা চলছে।
প্রেসিডেন্ট স্টাবকে অবহিত করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার চলছে। জুলাই সনদ একটি গভীর রাজনৈতিক সংস্কারের রূপরেখা, যাতে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠদের বিচার তার সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকার এ কথা জানিয়ে তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিচার আন্তর্জাতিক আইনগত মানদণ্ড অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকার তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে প্রত্যর্পণের আবেদন করেছে।
বিচারাধীন অবস্থাতেও তিনি উসকানিমূলক ও অস্থিতিশীলতামূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন ড. ইউনূস।
এর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সাথে বৈঠকের একই কথা বলেন।
অধ্যাপক ইউনূস জানান, বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারি মাসে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১১টি কমিশনের প্রস্তাবিত গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার দেশকে অর্থবহ রাজনৈতিক রূপান্তরের দিকে নিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক ইউনূস উল্লেখ করেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোচনা শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং দলগুলো ‘জুলাই সনদ’-এ স্বাক্ষর করবে, যেখানে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়বস্তুসমূহ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
সংস্কারগুলো বাংলাদেশে যেন আর কোনো স্বৈরশাসকের উত্থান না হয় সে লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে বলে অধ্যাপক ইউনূস জানান।