ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে কুদ্দুস মোল্লা (৫০) নামের একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।
রোববার (৫ মে) রাতে ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের মকরমপুটি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চলে সংঘর্ষ। এসময় দুপক্ষের লোকজনই টর্চ লাইট জ্বালিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের মকরমপুর্টি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দবির মাতব্বরের সঙ্গে একই গ্রামের বজলু মুন্সির দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। রোববার সন্ধ্যায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সোলেমান নামের এক যুবকের উস্কানিমূলক কথা বলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় পরে রাত ৮টার দিকে দবির মাতুব্বরের পক্ষে সোলেমান মাতুব্বর ও বজলু মুন্সি দলের শাহআলমের কথা কাটাকাটি হয়।এরপর এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।
দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে দেশীয় অস্ত্র ঢাল, কাতরা, টেঁটা, রাম দা ও ইট নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। সংঘর্ষে কুদ্দুস মোল্লা নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। এ ছাড়া অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানার পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভাঙ্গার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. তাহসিন জুবায়ের জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় এই পর্যন্ত ৬-৭ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কুদ্দুস মোল্লা নামের একজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন জানান, এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।