ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

ঢাকায় নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ,অভিযানে মিললো চাঞ্চল্যকর তথ্য।

  • স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় ১১:৫৯:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

মালয়েশিয়ায় পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে রাজধানীর কাজীপাড়ায় একটি আবাসিক হোটেলে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ১০-১২ জন মিলে ধর্ষণ করে বলে কাফরুল থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।

এদিকে ধর্ষণের ঘটনার পর ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় পুলিশ। নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার ভবনটিতে বাইরে থেকে জিম ও শপিং সেন্টার দেখা গেলেও ভেতরে মেলে কয়েকটি গোপন কক্ষের সন্ধান৷ পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহযোগিতায় গ্রিল কেটে ও দরজা ভেঙে আটক করা হয় অভিযুক্ত একজনকে। একটি কক্ষে মেলে মদ ও ফেনসিডিলের বোতল। আটককৃত ও ভবনের এক কেয়ারটেকারের দাবি, স্থানীয় প্রভাবশালীদের মদদে ভবনটিতে দীর্ঘদিন ধরেই চলতো অনৈতিক কার্যকলাপ।

ভুক্তভোগীর স্বজনদের অভিযোগ, কয়েক মাস আগে মালয়েশিয়ার ভিসা দেয়ার নাম করে ওই নারীর কাছ থেকে প্রায় এক লাখ টাকা নেন সাগর নামে একজন৷ দীর্ঘদিনেও ভিসার ব্যবস্থা না করায় মনোমালিন্য হয় তাদের মধ্যে। এ অবস্থায় টাকা ফেরত চাইলে নানা টালবাহানা শুরু করেন সাগর। পরে গত রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরের শেওরাপাড়ায় একটি ভবনে ডেকে আনা হয় ভুক্তভোগী নারীকে। সেখানে তাকে আটকে রেখে করা হয় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ।

ভবনটির চারতলায় আছে একটি জিম। সেটির মালিকের দাবি, হোটেলটিতে চলে অবৈধ ও অসামাজিক কার্যকলাপ। পুলিশ জেনেও কোনো ব্যবস্থা নেয় না অভিযোগ তার। এ সব বিষয়ে প্রশ্ন করলেও কথা বলতে নারাজ মিরপুর জোনের এসি মাহমুদুল হোসাইন।

এ ছাড়া সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ নিয়েও কিছু বলতে চাননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঢাকায় নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ,অভিযানে মিললো চাঞ্চল্যকর তথ্য।

আপডেট সময় ১১:৫৯:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মালয়েশিয়ায় পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে রাজধানীর কাজীপাড়ায় একটি আবাসিক হোটেলে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ১০-১২ জন মিলে ধর্ষণ করে বলে কাফরুল থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।

এদিকে ধর্ষণের ঘটনার পর ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় পুলিশ। নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার ভবনটিতে বাইরে থেকে জিম ও শপিং সেন্টার দেখা গেলেও ভেতরে মেলে কয়েকটি গোপন কক্ষের সন্ধান৷ পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহযোগিতায় গ্রিল কেটে ও দরজা ভেঙে আটক করা হয় অভিযুক্ত একজনকে। একটি কক্ষে মেলে মদ ও ফেনসিডিলের বোতল। আটককৃত ও ভবনের এক কেয়ারটেকারের দাবি, স্থানীয় প্রভাবশালীদের মদদে ভবনটিতে দীর্ঘদিন ধরেই চলতো অনৈতিক কার্যকলাপ।

ভুক্তভোগীর স্বজনদের অভিযোগ, কয়েক মাস আগে মালয়েশিয়ার ভিসা দেয়ার নাম করে ওই নারীর কাছ থেকে প্রায় এক লাখ টাকা নেন সাগর নামে একজন৷ দীর্ঘদিনেও ভিসার ব্যবস্থা না করায় মনোমালিন্য হয় তাদের মধ্যে। এ অবস্থায় টাকা ফেরত চাইলে নানা টালবাহানা শুরু করেন সাগর। পরে গত রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরের শেওরাপাড়ায় একটি ভবনে ডেকে আনা হয় ভুক্তভোগী নারীকে। সেখানে তাকে আটকে রেখে করা হয় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ।

ভবনটির চারতলায় আছে একটি জিম। সেটির মালিকের দাবি, হোটেলটিতে চলে অবৈধ ও অসামাজিক কার্যকলাপ। পুলিশ জেনেও কোনো ব্যবস্থা নেয় না অভিযোগ তার। এ সব বিষয়ে প্রশ্ন করলেও কথা বলতে নারাজ মিরপুর জোনের এসি মাহমুদুল হোসাইন।

এ ছাড়া সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ নিয়েও কিছু বলতে চাননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।