ময়মনসিংহ , শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নীতিশ কুমার আজ থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়কের আদলে চলার আহ্বান খসরুর এই রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে বললেন বদিউল আলম মজুমদার সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে , ট্রাকচালকসহ ৪ জন কারাগারে খায়রুল হকের রায়ে পরতে পরতে ভুল ছিল বললেন ব্যারিস্টার কাজল পুলিশের ওপর হামলা বাড়লে ঘরবাড়ি নিজেরাই পাহারা দিতে হবে বললেন ডিএমপি কমিশনার একই স্থানে বিএনপির দুই গ্রুপের কর্মসূচিতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা কুমিল্লায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা : আমির খসরু তারেক রহমান জন্মদিনে নারীদের ৫ প্রতিশ্রুতি দিলেন সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না বললেন শফিকুল আলম
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

ঢাবির হলে সব ধরনের প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ:প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলে প্রকাশ্য ও গোপনে সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ। গত বছরের ১৭ জুলাইয়ের পরিপত্র অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। 

শুক্রবার (৮ আগস্ট) ঢাবির হলগুলোতে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে মধ্যরাত ৩টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কথা বলেন তিনি। এই ঘোষণার পরে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ হলে ফিরে যান।

প্রক্টর বলেন, ‘হল পর্যায়ে সব রকমের প্রকাশ্য এবং গুপ্ত রাজনীতি ১৭ জুলাইয়ের ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী নিষিদ্ধ থাকবে।’

এ ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা হাততালি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ও স্লোগান দেন, ‘এই মুহূর্তে খবর এল, হল পলিটিকস নিষিদ্ধ হলো।’

এর আগে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘১৭ তারিখে তোমরা ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে বা হল-কেন্দ্রিক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছো, সে অনুযায়ী হল প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। ডাকসু-কেন্দ্রিক যে কাজকর্ম, ডাকসু-কেন্দ্রিক যে প্যানেল, তা করতে দিতে হবে। হল পর্যায়ে ১৭ তারিখের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়টি নিয়ন্ত্রিত থাকবে এবং সেটি হল প্রশাসন যেভাবে চাইবে সেভাবে হবে।

অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘এখন যদি নির্দিষ্ট কোনো দলের ব্যাপার থাকে, তাদের সঙ্গে এই ব্যাপারে কথা বলব এবং বোঝার চেষ্টা করব, আমাদের এক্সিকিউটিভ কমিটির পরামর্শটা দরকার- যে ছাত্র সংগঠনগুলো ডাকসু প্রক্রিয়ায় কীভাবে অংশ নেবে, আবার কমিটি না দিয়ে কীভাবে এগুবে। তাদের তো কাজ করতে হবে, কিন্তু একইসঙ্গে আবার আমরা চাই না তারা রেগুলার নিবর্তনমূলক রাজনীতি করুক। সেই ক্ষেত্রে আমাদের তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।’

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা নিবর্তনমূলক কোনো রাজনীতি হল পর্যায়ে চাই না, এটা খুব পরিষ্কার। ১৭ জুলাই, ওই সময় হল প্রশাসন ও ছাত্রদের মধ্যে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটি তারা তাদের মতো বিবেচনা করতে পারবে, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’

তিনি বলেন, ‘হলে রাজনীতি থাকার বিষয়টা অলরেডি মীমাংসিত। এই ব্যাপারে তোমাদের যে সিদ্ধান্ত ১৭ তারিখের, সেটা এর আগের হল প্রশাসন দিয়েছে। হল প্রশাসন যদি মনে করে, সে অনুযায়ী জানাবে।’

এর আগে, ঢাবির হলগুলোতে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে শুক্রবার মধ্যরাতে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে রোকেয়া হল ও শামসুন্নাহার হলের একদল ছাত্রী হলের ফটকের তালা ভেঙে বেরিয়ে এসে বিক্ষোভে যোগ দেন। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়কে মিছিল করেন তারা। এসময় তারা ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, হল পলিটিক্স নো মোর’, ‘হলে হলে রাজনীতি, চলবে না চলবে না’সহ নানা স্লোগান দেন।

পরে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। রাত আড়াইটার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বাসভবনের সামনে এসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নীতিশ কুমার

ঢাবির হলে সব ধরনের প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ:প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ

আপডেট সময় ১২:৪৬:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলে প্রকাশ্য ও গোপনে সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ। গত বছরের ১৭ জুলাইয়ের পরিপত্র অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। 

শুক্রবার (৮ আগস্ট) ঢাবির হলগুলোতে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে মধ্যরাত ৩টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কথা বলেন তিনি। এই ঘোষণার পরে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ হলে ফিরে যান।

প্রক্টর বলেন, ‘হল পর্যায়ে সব রকমের প্রকাশ্য এবং গুপ্ত রাজনীতি ১৭ জুলাইয়ের ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী নিষিদ্ধ থাকবে।’

এ ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা হাততালি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ও স্লোগান দেন, ‘এই মুহূর্তে খবর এল, হল পলিটিকস নিষিদ্ধ হলো।’

এর আগে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘১৭ তারিখে তোমরা ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে বা হল-কেন্দ্রিক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছো, সে অনুযায়ী হল প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। ডাকসু-কেন্দ্রিক যে কাজকর্ম, ডাকসু-কেন্দ্রিক যে প্যানেল, তা করতে দিতে হবে। হল পর্যায়ে ১৭ তারিখের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়টি নিয়ন্ত্রিত থাকবে এবং সেটি হল প্রশাসন যেভাবে চাইবে সেভাবে হবে।

অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘এখন যদি নির্দিষ্ট কোনো দলের ব্যাপার থাকে, তাদের সঙ্গে এই ব্যাপারে কথা বলব এবং বোঝার চেষ্টা করব, আমাদের এক্সিকিউটিভ কমিটির পরামর্শটা দরকার- যে ছাত্র সংগঠনগুলো ডাকসু প্রক্রিয়ায় কীভাবে অংশ নেবে, আবার কমিটি না দিয়ে কীভাবে এগুবে। তাদের তো কাজ করতে হবে, কিন্তু একইসঙ্গে আবার আমরা চাই না তারা রেগুলার নিবর্তনমূলক রাজনীতি করুক। সেই ক্ষেত্রে আমাদের তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।’

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা নিবর্তনমূলক কোনো রাজনীতি হল পর্যায়ে চাই না, এটা খুব পরিষ্কার। ১৭ জুলাই, ওই সময় হল প্রশাসন ও ছাত্রদের মধ্যে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটি তারা তাদের মতো বিবেচনা করতে পারবে, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’

তিনি বলেন, ‘হলে রাজনীতি থাকার বিষয়টা অলরেডি মীমাংসিত। এই ব্যাপারে তোমাদের যে সিদ্ধান্ত ১৭ তারিখের, সেটা এর আগের হল প্রশাসন দিয়েছে। হল প্রশাসন যদি মনে করে, সে অনুযায়ী জানাবে।’

এর আগে, ঢাবির হলগুলোতে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে শুক্রবার মধ্যরাতে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে রোকেয়া হল ও শামসুন্নাহার হলের একদল ছাত্রী হলের ফটকের তালা ভেঙে বেরিয়ে এসে বিক্ষোভে যোগ দেন। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়কে মিছিল করেন তারা। এসময় তারা ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, হল পলিটিক্স নো মোর’, ‘হলে হলে রাজনীতি, চলবে না চলবে না’সহ নানা স্লোগান দেন।

পরে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। রাত আড়াইটার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বাসভবনের সামনে এসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।