ময়মনসিংহ , বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
পাকিস্তান প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন অভিযোগ প্রমাণ হলে জেলে যেতে রাজি বললেন গাজী তানভীর এনবিআর কর্মকর্তাদের ৪ দাবিতে লাগাতার অসহযোগ কর্মসূচির ঘোষণা টিকটক ভিডিও করতে ফটোগ্রাফারকে খুন করে ক্যামেরা ছিনতাই ইসি পুনর্গঠনের দাবি গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বললেন ফারুক ২৮ তারিখের মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা শোধ না করলে জেল বললেন শ্রম উপদেষ্টা শ্রমিকের পাওনা শোধ না করলে মালিকদের জেলে যেতে হবেবলে মন্তব্য করেছেন উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন ভারী বৃষ্টির আভাস ৩ বিভাগে সিইসিসহ ৫ ইসির পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে বললেন এনসিপি ইশরাক দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ চাইলেন
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

তারা খালি ফডু তুইল্যা লইয়া যায়’ ‘ফানি আইয়া আমরারে অত্যাচার করে,

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় ০১:৫৮:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪
  • ১৭৮ বার পড়া হয়েছে

সংগৃহীত ছবি

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার কলমাকান্দায় উব্দাখালি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। দুর্ভোগে পড়েছেন নদী পাড়ের মানুষরা। তাদের অভিযোগ, প্রতিবছর পানি এসে তাদের অত্যাচার করে, কিন্তু দেখার কেউ নেই। শুধু ছবি তুলে নিয়ে যায়।

বুধবার (১৯ জুন) বিকাল থেকে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল পর্যন্ত উব্দাখালি নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার কমেছে। তারপরও বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।এদিকে নদী পাড়ের সদর ইউনিয়নের সাউতপাড়া, মনতলা, ইসবপুর, কেশবপুর ও ইব্রাহিমপুরসহ পার্শ্ববর্তী বড়খাপন ইউনিয়নের প্রায় সবগুলো গ্রাম এবং নাজিরপুর ইউনিয়নের দিলুরা, ফকির চান্দুয়াইন ও পাচকাটা গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এতে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষরা।পানিবন্দিরা জানায়, বাড়ির ভেতরে পানি থাকায় হচ্ছে না রান্না-খাওয়া। শুকনো খাবার দিয়ে কোনোমতে দিন কাটছে তাদের। উঁচু দু-একটি দোকান থেকে শুকনা খাবারের জোগান দিচ্ছেন বাড়ির অভিভাবকরা। তবে অনেকের নৌকা না থাকায় পানি ভেঙে বাড়ির বাইরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরেই ঢল এলে তারা কষ্ট ভোগ করেন। এ থেকে মুক্তি চান তারা।পঞ্চাশোর্ধ রেহেনা আক্তার জানান, ঘর থেকে বেরই হতে পারছেন না ।

বাইরে পুরুষরা একবার গিয়ে কিছু খাবার নিয়ে আসতে পারলে খাওয়া হয়, নাহয়লে খালি পেটে থাকতে হয়। রেহানা বলেন আমাদের খোঁজ কেউ নেয়না । হত্তি বছর (প্রতিবছর) এইবায় ফানি আইয়া আমরারে অত্যাচার করে, এইডার কুনু ব্যবস্থা করে না। এইবায় আইয়া ফডু তুইল্যা লইয়া যায় খালি।’কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, ৪২টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পানিবন্দি মানুষরা সেখানে অবস্থান নিতে পারবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

পাকিস্তান প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন

তারা খালি ফডু তুইল্যা লইয়া যায়’ ‘ফানি আইয়া আমরারে অত্যাচার করে,

আপডেট সময় ০১:৫৮:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার কলমাকান্দায় উব্দাখালি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। দুর্ভোগে পড়েছেন নদী পাড়ের মানুষরা। তাদের অভিযোগ, প্রতিবছর পানি এসে তাদের অত্যাচার করে, কিন্তু দেখার কেউ নেই। শুধু ছবি তুলে নিয়ে যায়।

বুধবার (১৯ জুন) বিকাল থেকে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল পর্যন্ত উব্দাখালি নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার কমেছে। তারপরও বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।এদিকে নদী পাড়ের সদর ইউনিয়নের সাউতপাড়া, মনতলা, ইসবপুর, কেশবপুর ও ইব্রাহিমপুরসহ পার্শ্ববর্তী বড়খাপন ইউনিয়নের প্রায় সবগুলো গ্রাম এবং নাজিরপুর ইউনিয়নের দিলুরা, ফকির চান্দুয়াইন ও পাচকাটা গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এতে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষরা।পানিবন্দিরা জানায়, বাড়ির ভেতরে পানি থাকায় হচ্ছে না রান্না-খাওয়া। শুকনো খাবার দিয়ে কোনোমতে দিন কাটছে তাদের। উঁচু দু-একটি দোকান থেকে শুকনা খাবারের জোগান দিচ্ছেন বাড়ির অভিভাবকরা। তবে অনেকের নৌকা না থাকায় পানি ভেঙে বাড়ির বাইরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরেই ঢল এলে তারা কষ্ট ভোগ করেন। এ থেকে মুক্তি চান তারা।পঞ্চাশোর্ধ রেহেনা আক্তার জানান, ঘর থেকে বেরই হতে পারছেন না ।

বাইরে পুরুষরা একবার গিয়ে কিছু খাবার নিয়ে আসতে পারলে খাওয়া হয়, নাহয়লে খালি পেটে থাকতে হয়। রেহানা বলেন আমাদের খোঁজ কেউ নেয়না । হত্তি বছর (প্রতিবছর) এইবায় ফানি আইয়া আমরারে অত্যাচার করে, এইডার কুনু ব্যবস্থা করে না। এইবায় আইয়া ফডু তুইল্যা লইয়া যায় খালি।’কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, ৪২টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পানিবন্দি মানুষরা সেখানে অবস্থান নিতে পারবে।