দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফেরার পর শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন ভবনে দুপুরের দিকে তার পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
সেখানে তিনি ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হওয়া এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রাপ্তির প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিক কার্যাদি সম্পন্ন করবেন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমানের ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে আইনগত কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। ভোটার তালিকা আইনের ১৫ ধারা অনুযায়ী, কমিশন যেকোনো যোগ্য ব্যক্তিকে যেকোনো সময় ভোটার হিসেবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার এখতিয়ার রাখে, ফলে এই প্রক্রিয়ায় কোনো আইনি জটিলতা দেখছে না ইসি।
এরপর তিনি রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে যাবেন এবং সেখানে চিকিৎসাধীন জুলাই বিপ্লবে আহত যোদ্ধাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেবেন ও তাঁদের সঙ্গে সময় কাটাবেন। গত বৃহস্পতিবার সপরিবার দেশে ফেরার পর থেকেই তারেক রহমান রাজনৈতিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন, যার ধারাবাহিকতায় আজকের এই কর্মসূচিগুলো সাজানো হয়েছে।
এরপর তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাধীন তার মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন এবং দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন। বর্তমানে তিনি গুলশানের বাসভবনে অবস্থান করছেন এবং দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছেন।
তারেক রহমানের দেশে ফেরার পর থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আজ নির্বাচন কমিশনে তার আগমনকে কেন্দ্র করে আগারগাঁও এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই তিনি দেশের নাগরিক হিসেবে তাঁর ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে যাচ্ছেন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকেও জানানো হয়েছে যে, সাধারণ নাগরিকরা যেভাবে নিবন্ধিত হন, তারেক রহমানের ক্ষেত্রেও সেই একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।

ডিজিটাল রিপোর্ট 




















