ময়মনসিংহ , সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

তীব্র তাপমাত্রায় পাঁচ শতাধিক মৃত্যু পাকিস্তানে

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় ০১:১৮:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪
  • ২২০ বার পড়া হয়েছে

সংগৃহীত ছবি

অনলাইন নিউজ-

আদ্রতা বেশি থাকার কারনে আরো বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে।লোকজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছৃটে বেড়াচ্ছেন। করাচির সিভিল হাসপাতালে গত রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ২৬৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জরুরি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক ইমরান সারওয়ার শেখ। এদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

ডা. ইমরান সারওয়ার শেখ বলেন, আমরা যাদেরকে হাসপাতালে আসতে দেখছি তাদের বেশির ভাগ বয়স ৬০ থেকে ৭০ এর মধ্যে। তবে এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ছিল যাদের বয়স প্রায় ৪৫ বছর এবং এক দম্পতিও ছিল তার বয়স ৩০ বছরের মধ্যে। তিনি বলেন, যারা ঘরের বাইরে কাজ করছেন তাদের অনেকেই ডায়রিয়া বা তীব্র জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং কারো কারো বমি হচ্ছে।

লোকজনকে আমরা পরামর্শ দিচ্ছি যে এই তীব্র তাপমাত্রায় প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে এবং হালকা কাপড় পরতে হবে। জনসাধারণকে স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টায় বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ কেন্দ্র এবং ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে এবং বেশ কিছু ছবিতে দেখা গেছে, শিশুরা ঝর্ণার পানিতে খেলা করছে। অনেকেই গরম থেকে বাঁচার জন্য বার বার পানি গায়ে দিয়ে ঠাণ্ডা থাকার চেষ্টা করছেন। মোহাম্মদ ইমরান নামের একজন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন,  আমার জামা কাপড় পুরোপুরি ঘামে ভিজে গেছে, ঠাণ্ডা থাকার জন্য বেশ চেষ্টা করছেন। সাহায্যের প্রয়োজন থাকা স্বত্বেও সবাই সময়মত হাসপাতালে পৌঁছাতে পারেননি। অনেকে বাড়িতেই অসুস্থ হয়েই মারা যান।

তীব্র তাপমাত্রায় পাঁচ শতাধিক মৃত্যু পাকিস্তানে-

তীব্র তাপমাত্রায় পাঁচ শতাধিক মৃত্যু পাকিস্তানে ওয়াসিম আহমেদ জানতেন না যে, তিনি বাড়িতে এসে অসুস্থ বোধ করবেন। ৫৬ বছর বয়সী এই নিরাপত্তা প্রহরী সবেমাত্র ১২ ঘন্টার ডিউটি শেষে বাড়ি ফিরেছেন। তিনি অনুভব করছিলেন যে, তাপমাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ওয়াসিমের চাচাতো ভাই আদনান জাফর বিবিসিকে বলেন, তিনি দরজা দিয়ে এসে আমাকে বললেন, আমি এই গরম সহ্য করতে পারবো না। তারপর তিনি এক গ্লাস পানি চাইলেন। পানি খাওয়ার পরপরই তিনি লুটিয়ে পড়েন।সে সময় ওয়াশিমের পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

তবে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, তিনি ইতোমধ্যেই সম্ভবত হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। আদনান জানিয়েছেন, ওয়াসিমের হার্টের অবস্থা ভালো ছিল না। তবে এর আগে তিনি কখনো গরমে এভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েননি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তীব্র তাপমাত্রায় পাঁচ শতাধিক মৃত্যু পাকিস্তানে

আপডেট সময় ০১:১৮:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

অনলাইন নিউজ-

আদ্রতা বেশি থাকার কারনে আরো বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে।লোকজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছৃটে বেড়াচ্ছেন। করাচির সিভিল হাসপাতালে গত রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ২৬৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জরুরি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক ইমরান সারওয়ার শেখ। এদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

ডা. ইমরান সারওয়ার শেখ বলেন, আমরা যাদেরকে হাসপাতালে আসতে দেখছি তাদের বেশির ভাগ বয়স ৬০ থেকে ৭০ এর মধ্যে। তবে এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ছিল যাদের বয়স প্রায় ৪৫ বছর এবং এক দম্পতিও ছিল তার বয়স ৩০ বছরের মধ্যে। তিনি বলেন, যারা ঘরের বাইরে কাজ করছেন তাদের অনেকেই ডায়রিয়া বা তীব্র জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং কারো কারো বমি হচ্ছে।

লোকজনকে আমরা পরামর্শ দিচ্ছি যে এই তীব্র তাপমাত্রায় প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে এবং হালকা কাপড় পরতে হবে। জনসাধারণকে স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টায় বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ কেন্দ্র এবং ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে এবং বেশ কিছু ছবিতে দেখা গেছে, শিশুরা ঝর্ণার পানিতে খেলা করছে। অনেকেই গরম থেকে বাঁচার জন্য বার বার পানি গায়ে দিয়ে ঠাণ্ডা থাকার চেষ্টা করছেন। মোহাম্মদ ইমরান নামের একজন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন,  আমার জামা কাপড় পুরোপুরি ঘামে ভিজে গেছে, ঠাণ্ডা থাকার জন্য বেশ চেষ্টা করছেন। সাহায্যের প্রয়োজন থাকা স্বত্বেও সবাই সময়মত হাসপাতালে পৌঁছাতে পারেননি। অনেকে বাড়িতেই অসুস্থ হয়েই মারা যান।

তীব্র তাপমাত্রায় পাঁচ শতাধিক মৃত্যু পাকিস্তানে-

তীব্র তাপমাত্রায় পাঁচ শতাধিক মৃত্যু পাকিস্তানে ওয়াসিম আহমেদ জানতেন না যে, তিনি বাড়িতে এসে অসুস্থ বোধ করবেন। ৫৬ বছর বয়সী এই নিরাপত্তা প্রহরী সবেমাত্র ১২ ঘন্টার ডিউটি শেষে বাড়ি ফিরেছেন। তিনি অনুভব করছিলেন যে, তাপমাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ওয়াসিমের চাচাতো ভাই আদনান জাফর বিবিসিকে বলেন, তিনি দরজা দিয়ে এসে আমাকে বললেন, আমি এই গরম সহ্য করতে পারবো না। তারপর তিনি এক গ্লাস পানি চাইলেন। পানি খাওয়ার পরপরই তিনি লুটিয়ে পড়েন।সে সময় ওয়াশিমের পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

তবে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, তিনি ইতোমধ্যেই সম্ভবত হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। আদনান জানিয়েছেন, ওয়াসিমের হার্টের অবস্থা ভালো ছিল না। তবে এর আগে তিনি কখনো গরমে এভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েননি।