ময়মনসিংহ , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিশু আরাফাত মারা গেছে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঘন কুয়াশায় নাটোরে ৬ ট্রাকে সংঘর্ষ, নিহত ১ আহত ৭ ডলার বাজারে অস্থিরতা, লেনদেনের তথ্য চায় বাংলাদেশ ব্যাংক সাবেক এমপি পোটন রিমান্ডে যুবদল নেতা হত্যা মামলায় টিউলিপ সিদ্দিককে যুক্তরাজ্যে জিজ্ঞাসাবাদ,৪ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ চিরকুট লিখে বীর মুক্তিযোদ্ধা আত্মহত্যা করলেন দুদকের মামলা স্ত্রী-কন্যাসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহে সরকারি প্রতিষ্ঠানে চলছিল অস্ত্র-মাদক কেনাবেচা
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

থামছে না ভাঙন পানি কমলেও

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় ১০:৪৬:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

সংগৃহীত ছবি

অনলাইন নিউজ-

টানা কয়েক দিন বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় দেশের বেশির ভাগ এলাকাতেই নদ-নদীর পানি কমে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হয়েছে। সিলেটে নগর এলাকায় দ্রুত এবং উপজেলাগুলোতে ধীরগতিতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।সুনামগঞ্জের হাওরপারের জনবসতির কোনো কোনো জায়গায় বানের স্রোতে কাঁচা ঘরবাড়ি ধসে পড়ছে। গতকাল সোমবার মৌলভীবাজারে বন্যার পানিতে ডুবে মারা যাওয়া দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।অন্যদিকে উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রামে সদ্য সংস্কার করা একটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এখন ভাঙনের ঝুঁকিতে। গাইবান্ধায় পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে নদীতীরবর্তী এলাকায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন।কালের কণ্ঠ’র আঞ্চলিক অফিস ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর ।

সিলেট : নগর এলাকায় রবিবার রাতে আর উপজেলায় গতকাল ভোরে বৃষ্টিপাত হলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো খানিকটা উন্নতি হয়েছে। নদ-নদীর পানি আরো কমেছে, কোথাও অপরিবর্তিত রয়েছে।এখনো চার পয়েন্টে দুই নদীর পানি বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, সিলেট সিটি করপোরেশনের আক্রান্ত ২৩ ওয়ার্ডের মধ্যে এখন মাত্র তিনটি ওয়ার্ড বন্যাকবলিত। তবে আক্রান্ত উপজেলাগুলোর ১০৭টি ইউনিয়নের এক হাজার ৩৬৭টি গ্রাম এখনো বন্যাকবলিত। এসব এলাকায় পানি কমছে খুব ধীরগতিতে।আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে প্রতিদিন কমছে বন্যার্তের সংখ্যা। গতকাল দুপুরের হিসাব অনুযায়ী, উপজেলাগুলোর আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে ১৩ হাজার ১৫৪ জন মানুষ।

সুনামগঞ্জ : পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্ধিত অংশ ওয়েজখালী এলাকাটি গড়ে উঠেছে দেখার হাওর ভরাট করে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে হাওর ভরাট করে বেড়ে চলছে বসতবাড়ি নির্মাণ। এই অবস্থা হাসননগরের কেজাউড়া, শান্তিবাগ, পশ্চিম ও দক্ষিণ হাজিপাড়া, পূর্ব ও দক্ষিণ নতুনপাড়া, কালিপুর, পূর্ব মল্লিকপুর ও পূর্ব ও দক্ষিণ ওয়েজখালী এলাকার।বন্যা হলে এসব এলাকার মানুষের দুর্ভোগ দীর্ঘায়িত হয়।ওয়েজখালীর বাসিন্দা দিনমজুর আজাদ মিয়া এনজিও থেকে সুদে ঋণ এনে এবং মানুষের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে টিনের বেড়া ও চালের একটি বাড়ি করেছিলেন গত বছর। এবারের বন্যায় তাঁর ভিটার মাটি ঢেউয়ে ধসে পড়ছে, ছুটে গেছে ঘরের বেড়া। এখন স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি।এই পাড়ার নারী শ্রমিক জাহেদা বেগম বলেন, ‘বইন্যায় আমার ঘরবাড়ি ভাইঙ্গা লইয়া গেছে। চাইর বাচ্চাকাচ্চা লইয়া বিপদে আছি। কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পাইছি না।’এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোলাম আহমদ সৈনিক বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডের প্রায় ৮০ শতাংশ ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছিল। পূর্ব ও দক্ষিণাংশে ক্ষতি হয়েছে বেশি। ঢেউয়ের আঘাতে ২০ থেকে ৩০টি পরিবারের কাঁচা ঘরের ভিটা ধসে যাচ্ছে।’

মৌলভীবাজার : পৃথক স্থান থেকে বন্যার পানিতে ডুবে মারা যাওয়া দুজনের লাশ গতকাল উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। সদর উপজেলার লামুয়া গ্রামের মুহিবুর রহমানের ছেলে আজিজুল (৬) গতকাল সকালে বরাক নদীর উপর সাঁকো পার হতে গিয়ে নদীতে পড়ে যায়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।অন্যদিকে গতকাল সকালে কনকপুর ইউনিয়নের মনু নদীতে পাওয়া যায় রিমন শেখের (১২) লাশ। সে সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের বর্ষিজুড়া গ্রামের মনির শেখের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, গত শনিবার দুপুরে মনু ব্যারাজ এলাকায় সাঁতার কাটতে নেমে নিখোঁজ হয়েছিল রিমন।

কুড়িগ্রাম : বজ্রসহ ভারি বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তিস্তা ও ধরলার পানি বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীভাঙনে গত তিন দিনে গৃহহীন হয়েছে সদর, রাজারহাট ও রৌমারী উপজেলার ৫০টি পরিবার।সদর উপজেলার সারডোব এলাকায় ধরলার ভাঙন তীব্র রূপ ধারণ করেছে। এলজিইডির একটি ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ভেঙে পানি ঢুকছে ভাটির চারটি গ্রামে। গত তিন দিনে এই এলাকাতেই নদীতে বিলীন হয়েছে ১০টি বাড়ি। সদ্য সংস্কারকৃত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটিও এখন ভাঙনের ঝুঁকিতে।রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নে তিস্তার ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে কালিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু দোকান ও বাড়িঘর।

থামছে না ভাঙন পানি কমলেও

গাইবান্ধা : পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে গাইবান্ধায় তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, করতোয়া ও ঘাঘট নদীর তীরবর্তী এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, বেলকা, কাপাসিয়া ও শ্রীপুর ইউনিয়নে নদীভাঙনের শিকার ১২২ পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।সদর উপজেলার মোল্লার চর, গিদারি, কামারজানি ও ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া এড়েণ্ডাবাড়ি, উরিয়া ও ফজলুপুর ইউনিয়নেও ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। এসব এলাকার মানুষ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ বা সড়কের পাশে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে

থামছে না ভাঙন পানি কমলেও

আপডেট সময় ১০:৪৬:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪
অনলাইন নিউজ-

টানা কয়েক দিন বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় দেশের বেশির ভাগ এলাকাতেই নদ-নদীর পানি কমে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হয়েছে। সিলেটে নগর এলাকায় দ্রুত এবং উপজেলাগুলোতে ধীরগতিতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।সুনামগঞ্জের হাওরপারের জনবসতির কোনো কোনো জায়গায় বানের স্রোতে কাঁচা ঘরবাড়ি ধসে পড়ছে। গতকাল সোমবার মৌলভীবাজারে বন্যার পানিতে ডুবে মারা যাওয়া দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।অন্যদিকে উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রামে সদ্য সংস্কার করা একটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এখন ভাঙনের ঝুঁকিতে। গাইবান্ধায় পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে নদীতীরবর্তী এলাকায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন।কালের কণ্ঠ’র আঞ্চলিক অফিস ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর ।

সিলেট : নগর এলাকায় রবিবার রাতে আর উপজেলায় গতকাল ভোরে বৃষ্টিপাত হলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো খানিকটা উন্নতি হয়েছে। নদ-নদীর পানি আরো কমেছে, কোথাও অপরিবর্তিত রয়েছে।এখনো চার পয়েন্টে দুই নদীর পানি বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, সিলেট সিটি করপোরেশনের আক্রান্ত ২৩ ওয়ার্ডের মধ্যে এখন মাত্র তিনটি ওয়ার্ড বন্যাকবলিত। তবে আক্রান্ত উপজেলাগুলোর ১০৭টি ইউনিয়নের এক হাজার ৩৬৭টি গ্রাম এখনো বন্যাকবলিত। এসব এলাকায় পানি কমছে খুব ধীরগতিতে।আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে প্রতিদিন কমছে বন্যার্তের সংখ্যা। গতকাল দুপুরের হিসাব অনুযায়ী, উপজেলাগুলোর আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে ১৩ হাজার ১৫৪ জন মানুষ।

সুনামগঞ্জ : পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্ধিত অংশ ওয়েজখালী এলাকাটি গড়ে উঠেছে দেখার হাওর ভরাট করে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে হাওর ভরাট করে বেড়ে চলছে বসতবাড়ি নির্মাণ। এই অবস্থা হাসননগরের কেজাউড়া, শান্তিবাগ, পশ্চিম ও দক্ষিণ হাজিপাড়া, পূর্ব ও দক্ষিণ নতুনপাড়া, কালিপুর, পূর্ব মল্লিকপুর ও পূর্ব ও দক্ষিণ ওয়েজখালী এলাকার।বন্যা হলে এসব এলাকার মানুষের দুর্ভোগ দীর্ঘায়িত হয়।ওয়েজখালীর বাসিন্দা দিনমজুর আজাদ মিয়া এনজিও থেকে সুদে ঋণ এনে এবং মানুষের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে টিনের বেড়া ও চালের একটি বাড়ি করেছিলেন গত বছর। এবারের বন্যায় তাঁর ভিটার মাটি ঢেউয়ে ধসে পড়ছে, ছুটে গেছে ঘরের বেড়া। এখন স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি।এই পাড়ার নারী শ্রমিক জাহেদা বেগম বলেন, ‘বইন্যায় আমার ঘরবাড়ি ভাইঙ্গা লইয়া গেছে। চাইর বাচ্চাকাচ্চা লইয়া বিপদে আছি। কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পাইছি না।’এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোলাম আহমদ সৈনিক বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডের প্রায় ৮০ শতাংশ ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছিল। পূর্ব ও দক্ষিণাংশে ক্ষতি হয়েছে বেশি। ঢেউয়ের আঘাতে ২০ থেকে ৩০টি পরিবারের কাঁচা ঘরের ভিটা ধসে যাচ্ছে।’

মৌলভীবাজার : পৃথক স্থান থেকে বন্যার পানিতে ডুবে মারা যাওয়া দুজনের লাশ গতকাল উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। সদর উপজেলার লামুয়া গ্রামের মুহিবুর রহমানের ছেলে আজিজুল (৬) গতকাল সকালে বরাক নদীর উপর সাঁকো পার হতে গিয়ে নদীতে পড়ে যায়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।অন্যদিকে গতকাল সকালে কনকপুর ইউনিয়নের মনু নদীতে পাওয়া যায় রিমন শেখের (১২) লাশ। সে সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের বর্ষিজুড়া গ্রামের মনির শেখের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, গত শনিবার দুপুরে মনু ব্যারাজ এলাকায় সাঁতার কাটতে নেমে নিখোঁজ হয়েছিল রিমন।

কুড়িগ্রাম : বজ্রসহ ভারি বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তিস্তা ও ধরলার পানি বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীভাঙনে গত তিন দিনে গৃহহীন হয়েছে সদর, রাজারহাট ও রৌমারী উপজেলার ৫০টি পরিবার।সদর উপজেলার সারডোব এলাকায় ধরলার ভাঙন তীব্র রূপ ধারণ করেছে। এলজিইডির একটি ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ভেঙে পানি ঢুকছে ভাটির চারটি গ্রামে। গত তিন দিনে এই এলাকাতেই নদীতে বিলীন হয়েছে ১০টি বাড়ি। সদ্য সংস্কারকৃত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটিও এখন ভাঙনের ঝুঁকিতে।রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নে তিস্তার ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে কালিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু দোকান ও বাড়িঘর।

থামছে না ভাঙন পানি কমলেও

গাইবান্ধা : পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে গাইবান্ধায় তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, করতোয়া ও ঘাঘট নদীর তীরবর্তী এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, বেলকা, কাপাসিয়া ও শ্রীপুর ইউনিয়নে নদীভাঙনের শিকার ১২২ পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।সদর উপজেলার মোল্লার চর, গিদারি, কামারজানি ও ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া এড়েণ্ডাবাড়ি, উরিয়া ও ফজলুপুর ইউনিয়নেও ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। এসব এলাকার মানুষ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ বা সড়কের পাশে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছে।