বগুড়ার সিভিল সার্জন পদে বদলির প্রজ্ঞাপন হলেও দায়িত্ব না ছাড়ায় জেলায় একসঙ্গে দুইজন সিভিল সার্জনের উপস্থিতি দেখা দিয়েছে। এতে চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে, যা প্রভাব ফেলছে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনায়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. একেএম মোফাখখারুল ইসলামকে মানিকগঞ্জে এবং মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. খুরশীদ আলমকে বগুড়ায় বদলি করা হয়। নির্দেশনায় ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তারা নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিলে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ট্যান্ড রিলিজ হওয়ার কথা বলা হয়।
ফলে সরকারি নথিপত্রে নতুন সিভিল সার্জনের নাম থাকলেও বাস্তবে পুরোনো কর্মকর্তার নামেই বেশ কিছু কার্যক্রম চলছে। এতে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে। আগামী মাসে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি নিয়েও বাস্তবায়ন না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে ডা. মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, ‘মাত্র ছয় মাস আগে বগুড়ায় যোগ দিয়েছি। তাই কিছুদিন এখানে থাকতে চাই। বিএমএ নেতারা চেষ্টা করছেন আমাকে রাখতে। ব্যর্থ হলে মানিকগঞ্জে যাব।’
অন্যদিকে নতুন সিভিল সার্জন ডা. খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমি নিয়ম মেনেই যোগদান করেছি এবং বর্তমানে অফিস করছি। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আগের সিভিল সার্জন স্ট্যান্ড রিলিজ হয়ে গেছেন।’