রাজধানীর ধানমন্ডিতে সীমান্ত সম্ভারে সোনার দোকানে চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ।
রোববার (১২ জানুয়ারি) সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবি দক্ষিণের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) হতে শনিবার (১১ জানুয়ারি) পর্যন্ত ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা জেলার কোম্পানীগঞ্জ ও মুরাদনগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছে থেকে চুরি হওয়া সর্বমোট ৫০ ভরি আট আনা সোনার গয়না উদ্ধার করা হয়।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জানুয়ারি দুপুর ১টার দিকে বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের গ্রাউন্ড ফ্লোরের একটি শোরুমে চুরি হয়। ওই শোরুমের মালিক কাজী আকাশ বাদী হয়ে ধানমন্ডি মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তিনি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, অজ্ঞাতনামা চোররা শোরুমের তালা কেটে ভেতরে ঢুকে ১৫৯ ভরি সোনার গহনা নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৫০ লাখ ২৮ হাজার ৮০০ টাকা।
ডিবি জানায়, গোয়েন্দা বিভাগ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনাস্থল থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে। ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পাওয়া ছবির সঙ্গে প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ এবং অন্যান্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ গত ৯ জানুয়ারি থেকে অভিযান পরিচালনা শুরু করে। অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজার হতে চট্টগ্রাম আসার পথে মো. রুবেল নামে একজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পরবর্তীতে কুমিল্লার দেবীদ্বার বাজারসংলগ্ন নিউমার্কেট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সফিক ওরফে সোহেলকে হেফাজতে নেওয়া হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানা এলাকার কোম্পানীগঞ্জ বাজারের একটি জুয়েলারি দোকান থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা চুরি হওয়া সোনার গয়না এবং ২১ ভরি ১০ আনা চুরি হওয়া সোনার গয়নার গলিত দানা উদ্ধার করা হয়। এ সময় সেখান থেকে সাদ্দাম হোসেন নামে আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের থেকে ৫০ ভরি আট আনা সোনা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত সোনার আনুমানিক মূল্য ৭০ লাখ টাকা।
ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চক্র শনাক্ত করা হয়েছে এবং চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানায় ডিবি।