দেশের মানুষ আর কারো ‘গোলামি’ চায় না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেছেন, ‘গত দেড় দশকে জনগণের মনস্তত্ত্বে পরিবর্তন এসেছে। তারা আর গোলামি চায় না। তারা গণতন্ত্রের ‘মানসকন্যা’ দেখেছে; তারা আর গণতন্ত্রের ‘মানসপুত্র’ দেখতে চায় না।’
বিএনপির মহাসচিবকে উদ্দেশ করে হাসনাত বলেন, “জনাব ফখরুল ইসলাম বলেছেন, তারেক রহমান ও বিএনপিকে নিয়ে যদি কথা বলা হয়, তাহলে সেটা নাকি গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ।
হাসনাত বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি ও দল রাষ্ট্রের ঊর্ধ্বে নয়। রাষ্ট্রের মধ্যে যে ব্যক্তি, যে রাজনৈতিক দল আসে, তারা সেবক হওয়ার জন্য আসে; মালিক হতে আসে না।’
‘যারা সেবা করতে আসবে, তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার অধিকার বাংলাদেশের জনগণের রয়েছে। যারা জবাবদিহিতাকে রুদ্ধ করতে চায়; তারা আরেকটি ফ্যাসিবাদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঞ্চালনায় পথসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, দলের রাজনৈতিক লিয়াজোঁ কমিটির প্রধান আরিফুল ইসলাম আদীব ও বরিশালের মুখ্য সংগঠক মাহমুদা আলম মিতু।
উপস্থিত ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্মআহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা ও নাহিদ সরোয়ার নিভা।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা বলেছিলাম ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ করতে হবে; নতুন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। চাঁদাবাজ, দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
“আমরা বাংলাদেশে সহিংসমুক্ত রাজনীতি দেখতে চেয়েছি; চাঁদামুক্ত অর্থনীতি দেখতে চেয়েছি। বাংলাদেশ দুর্নীতি, চাঁদাবাজ ও বৈষম্যমুক্ত না করে ঘরে ফিরব না।”
পথসভার আগে নগরীর হাসপাতাল রোড থেকে পদযাত্রা শুরু হয়; শেষ হয় ফজলুল হক এভিনিউয়ে গিয়ে।