ময়মনসিংহ , সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

দেশে প্রতি দুজনের একজন বাল্যবিবাহের শিকার

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২৫:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে এখনো প্রতি দুজন মেয়ের একজন (৫১%) বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছে। এই উদ্বেগজনক বাস্তবতা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে সরকার বাল্যবিবাহ বন্ধে প্রচেষ্টা আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে। বর্তমানে বছরে মাত্র ২ শতাংশ হারে বাল্যবিবাহ কমছে, যা বর্তমান গতিতে চললে এই প্রথা বন্ধ হতে দুই শতাব্দীরও বেশি সময় লাগবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

সংলাপে বাল্যবিবাহ সম্পূর্ণরূপে নির্মূলের জন্য একটি প্রমাণভিত্তিক ও সময়সীমানির্ধারিত সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা তৈরিতে ঐকমত্য হয়। এতে অংশগ্রহণকারী মন্ত্রণালয়গুলো বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নিজ নিজ ভূমিকা ও করণীয় নির্ধারণ করে।

জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের প্রতিনিধি মিস ক্যাথরিন ব্রিন কামকং বলেন, বাল্যবিবাহ রোধে আইনি সুরক্ষা, শিক্ষা ও বাস্তবায়নের সমন্বয় জরুরি। শুধু আইন প্রণয়ন নয়, প্রতিটি মেয়েকে অন্তর্ভুক্ত করে এমন এক সুরক্ষা নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে, যাতে কেউ বাদ না পড়ে।

সংলাপে আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় বিয়ের বয়স সংক্রান্ত তথ্য জালিয়াতি রোধে বিবাহ নিবন্ধন ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজ করার এবং আইনি ফাঁকফোকর বন্ধে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন সংশোধনের প্রস্তাব দেয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তারা ছাত্রীদের শিক্ষায় ধরে রাখার উদ্যোগ জোরদার করবে, এবং স্কুল পর্যায়ে জীবন দক্ষতা, স্বাস্থ্য ও সুস্থতা বিষয়ক শিক্ষা আরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বিদ্যালয়গুলোকে মেয়েদের জন্য আরও নিরাপদ করা এবং শিক্ষাকে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকর প্রতিষেধক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে কিশোরী মাতৃত্ব হ্রাসে অধিকারভিত্তিক প্রজনন ও যৌন স্বাস্থ্যসেবা জাতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া, বিবাহিত কিশোরী ও তরুণ অভিভাবকদের জন্য বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা প্যাকেজ চালুর প্রস্তাবও দেওয়া হয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগ ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয় জেলা পর্যায়ে নীতিমালার কার্যকর বাস্তবায়ন ও নিয়মিত পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করতে। পাশাপাশি, সার্বজনীন জন্ম ও বিবাহ নিবন্ধন বাধ্যতামূলক বাস্তবায়ন এবং স্থানীয় পর্যায়ে কর্মীদের সক্ষমতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশে প্রতি দুজনের একজন বাল্যবিবাহের শিকার

আপডেট সময় ১২:২৫:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশে এখনো প্রতি দুজন মেয়ের একজন (৫১%) বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছে। এই উদ্বেগজনক বাস্তবতা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে সরকার বাল্যবিবাহ বন্ধে প্রচেষ্টা আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে। বর্তমানে বছরে মাত্র ২ শতাংশ হারে বাল্যবিবাহ কমছে, যা বর্তমান গতিতে চললে এই প্রথা বন্ধ হতে দুই শতাব্দীরও বেশি সময় লাগবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

সংলাপে বাল্যবিবাহ সম্পূর্ণরূপে নির্মূলের জন্য একটি প্রমাণভিত্তিক ও সময়সীমানির্ধারিত সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা তৈরিতে ঐকমত্য হয়। এতে অংশগ্রহণকারী মন্ত্রণালয়গুলো বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নিজ নিজ ভূমিকা ও করণীয় নির্ধারণ করে।

জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের প্রতিনিধি মিস ক্যাথরিন ব্রিন কামকং বলেন, বাল্যবিবাহ রোধে আইনি সুরক্ষা, শিক্ষা ও বাস্তবায়নের সমন্বয় জরুরি। শুধু আইন প্রণয়ন নয়, প্রতিটি মেয়েকে অন্তর্ভুক্ত করে এমন এক সুরক্ষা নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে, যাতে কেউ বাদ না পড়ে।

সংলাপে আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় বিয়ের বয়স সংক্রান্ত তথ্য জালিয়াতি রোধে বিবাহ নিবন্ধন ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজ করার এবং আইনি ফাঁকফোকর বন্ধে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন সংশোধনের প্রস্তাব দেয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তারা ছাত্রীদের শিক্ষায় ধরে রাখার উদ্যোগ জোরদার করবে, এবং স্কুল পর্যায়ে জীবন দক্ষতা, স্বাস্থ্য ও সুস্থতা বিষয়ক শিক্ষা আরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বিদ্যালয়গুলোকে মেয়েদের জন্য আরও নিরাপদ করা এবং শিক্ষাকে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকর প্রতিষেধক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে কিশোরী মাতৃত্ব হ্রাসে অধিকারভিত্তিক প্রজনন ও যৌন স্বাস্থ্যসেবা জাতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া, বিবাহিত কিশোরী ও তরুণ অভিভাবকদের জন্য বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা প্যাকেজ চালুর প্রস্তাবও দেওয়া হয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগ ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয় জেলা পর্যায়ে নীতিমালার কার্যকর বাস্তবায়ন ও নিয়মিত পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করতে। পাশাপাশি, সার্বজনীন জন্ম ও বিবাহ নিবন্ধন বাধ্যতামূলক বাস্তবায়ন এবং স্থানীয় পর্যায়ে কর্মীদের সক্ষমতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।