নতুন সংবিধান প্রণয়ন হতে অনেক সময় লাগবে বলে মনে করছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, ‘নতুন সংবিধান তৈরি করতে সময় লাগবে, তাই এখনকার প্রয়োজন অনুযায়ী ৭২-এর সংবিধানের ফান্ডামেন্টালস ধরে রেখে কাজ করা উচিত।’
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, সংবিধান নিয়ে গঠিত খসড়ায় ‘জুলাই সনদ’-কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যেখানে উচ্চকক্ষের ক্ষমতা বৃদ্ধি, বিভিন্ন নতুন কমিশনের প্রস্তাব এবং প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ও ক্ষমতা নির্ধারণের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সব উত্তর সংবিধানে থাকে না। সুশাসনের জন্য ছোট ছোট আইনেরও প্রয়োজন রয়েছে।’
আসিফ নজরুল বলেন, যে গণপরিষদ যখন কাজ করবে সে নতুন সংবিধানের কাজ করতে থাকবে। ওটা করতে আমার ধারণা ২-৩ বছর লাগতে পারে। এই ২-৩ বছর কি আমি ৭২-এর সংবিধান গ্রহণ করব? এই ২-৩ বছরের জন্য তারা যখন জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে কাজ করবে থাকবে তখন তারা সংসদের কিছু ফান্ডামেন্ডাল যেমন-প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, আর্টিকেল ১৭, উচ্চ আদালতের ডিসেন্ট্রালাইজেশন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা। এই ফান্ডামেন্টাল জিনিসগুলো জাতীয় সংসদ পরিবর্ত করতেই থাকবে।
তিনি বলেন, জুলাই সনদের ওপর অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা ধরেই নিয়েছি, সবাই জুলাই সনদের ওপর অনেক কিছুতে একমত হবেন। হয়তো এমনও হতে পারে জুলাই সনদের ফান্ডামেন্টাল কিছু জিনিস রাখা যেতে পারে।
আফিস নজরুল বলেন, এটা জনপ্রিয় দাবি। আমারও দাবি। প্রধানমন্ত্রী দুই মেয়াদে বললে তো হবে না, আপনাকে কনভেন্সিং তর্ক করতে হবে। পৃথিবীর আর কোনো কোনো দেশে এটা আছে বের করেন। প্রধানমন্ত্রী দুই মেয়াদ কোথাও নাই আসলে। ভারত বলেন, যুক্তরাজ্য বলেন কোথাও নাই। দুই মেয়াদ সমাধান না। সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাটা কমিয়ে নেওয়া।
উচ্চ কক্ষের ক্ষমতা নিয়ে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি স্বাধীনভাবে নিয়োগ করতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধানে প্রধান বিচারপতি অসীম ক্ষমতা, তিনি দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি।