সিনিয়র সম্পাদক এটিএম মনিরুজ্জামান ত্রিশাল :
২০১৫ সালের ১২ই মে প্রতিষ্ঠা লাভ করে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা ও অকৃত্রিম পেশাদারিত্ব বজায় রেখে বর্ণিল আয়োজনে এই নবম বছর পার করে দশম বছরের পদার্পণ উদযাপন করেছে সাংবাদিক সমিতি।
আজ ১৩ মে (সোমবার) শোভাযাত্রা,বৃক্ষরোপণ কেক কাটা,জাতীয় সঙ্গীত, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রচনা প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ এবং আলোচনা সভার আয়োজনের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড সৌমিত্র শেখর, বিশেষ অতিথি ট্রেজারার প্রফেসর ড.আতাউর রহমান,আলোচক অমিত রায় সাধারণ সম্পাদক ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব,সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো ফাহাদ বিন সাঈদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবির, পরিবহন প্রশাসক ড.মো আরিফুর রহমান,প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশল জোবায়ের হোসেন, বিভাগীয় প্রধান, বিভিন্ন দপ্তর প্রধান,ত্রিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতি খুরশেদুল আলম মুজিব, ত্রিশাল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক আলমগীর কবীর ,প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের হোসেন, দৈনিক মাটি ও মানুষের সিনিয়র সম্পাদক ও সাবেক সভাপতি ত্রিশাল প্রেসক্লাব এটিএম মনিরুজ্জামান ,প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো শামীম,প্রেস ইউনিটির সভাপতি সাইফুল আলম তুহিন,সাংবাদিক ফরহাদ হোসেন,আমার সংবাদ প্রতিনিধি মামুনুর রশীদ , সময়ের আলো প্রতিনিধি হুমায়ন কবির ইমাদ্রী সহ বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি রাশেদুজ্জামান রনি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব, বর্তমান সদস্যবৃন্দ,শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী,নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিয়াশীল সংগঠনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য সৌমিত্র শেখর বলেন, শিক্ষক শিক্ষার্থী সকলের প্রিয় সংগঠন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। আমি সাংবাদিক সমিতির সকলকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করি। আমি মনে করি, সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা সঠিক পথেই রয়েছেন। সাংবাদিক মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি বলেন, অপরাধীরা যেখানেই থাকুক তাদের শাস্তি হবেই। উপাচার্য আরও বলেন, আমি সবাইকে নিয়ে চলতে চাই, সবাইকে নিয়েই থাকতেই চাই। এলাকাবাসীর সহযোগীতা সবসময় পেয়েছি এবং ভবিষ্যতেও সহযোগীতাপূর্ণ সম্পর্ক আশা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা রক্ষার জন্য আমরা একসাথে কাজ করতে চাই। পরিশেষে, তিনি সাংবাদিক সমিতির প্রতি শুভকামনা জানান। এসময় মূখ্য আলোচক আমিত রায় বলেন,সাংবাদিক সমিতির প্রতি শুভাকামনা জানিয়ে বলেন ভবিষ্যতে সাংবাদিক সমিতি ন্যায় নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাবে। সাংবাদিকরা সব সময় এক সাথে কাজ করে যাবো দেশের উন্নয়নের স্বার্থে।
সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোঃ ফাহাদ বিন সাঈদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি ৯ বর্ষ শেষ করে ১০ম বর্ষে পদার্পণ করেছে। সংগঠনটি ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠা কালে কিছু তরুণ মেধাবীর হাতে গড়ে উঠেছিলো, হাঁটিহাঁটি পা পা করে এই দীর্ঘ সময় সকলের আস্থা, বিশ্বাস আর ভালবাসার এই সংগঠন আজ এই অবস্থানে। ঐক্য, নিষ্ঠা ও সৃজনশীলতা স্লোগান কে বুকে ধারণ করে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভকে প্রতিষ্ঠিত করার লড়াই করে চলছে সাংবাদিক সমিতি। বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশ ও বিদেশে পরিচিত করতে কাজ করে যাচ্ছে এই সংগঠনের প্রতিটি সাংবাদিক। সাংবাদিক সমিতির সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের জানাই শুভেচ্ছা।
উল্লেখ্য সোমবার সকাল ১১ টায় গাছ রোপণের মাধ্যমে শুরু হয় এই প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আয়োজন। এরপর একটি শোভাযাত্রা লাইব্রেরির সামনে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শেষ হয়। এরপর কনফারেন্স রুমে কেক কাটার পর জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সবশেষে আলোচনা সভা ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এরপর সমিতির প্রয়াত নেতৃবৃন্দ এবং সদস্যদের মাঝে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানে সমাপ্তি ঘোষনা করেন আজকের অনুষ্ঠানের সভাপতি মোঃ ফাহাদ বিন সাঈদ।উপস্থাপনা করেন সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য ডি এইচ রনি।