ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

নলকূপে কীটনাশক ঢেলে পানি পান, হাসপাতালে ৬ শিশু

ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার কাচারীতলা গ্রামে খেলার সময় নলকূপের পানির সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েছে ৬ শিশু। সোমবার রাত ৯টার দিকে তাদেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালে ভর্তি শিশুরা হলো- ওই গ্রামের কামিরুল শাহের ছেলে হোসাইন শাহ (৪), সাইফুল শাহের মেয়ে মরিয়ম (৭), সাগর খাঁর ছেলে আব্দুল্লাহ (৩), হাসান মন্ডলের মেয়ে জান্নাতুল (৯), রতন শাহের ছেলে রোকেয়া (৯) ও মারুফ শাহের ছেলে মার্ফিয়া (৬)। বর্তমানে তারা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

সন্ধ্যার দিকে রমজান মন্ডল তার ওষুধের বোতল খুঁজতে আসেন। কিছুক্ষণ পর কামিরুল শাহের চার বছরের ছেলে হোসাইন শাহের পেটে ব্যথা শুরু হয়। ওই শিশুর সঙ্গে কথা বলে নলকূপের ধারে গিয়ে কীটনাশকের বোতল পায় অভিভাবকরা। পরক্ষণেই শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রাত ৮টার দিকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হোসাইনের সঙ্গে কীটনাশক মিশানো পানি খাওয়া অপর পাঁচ শিশুর বমির পাশাপাশি পেটে ও গলায় ব্যথা শুরু হলে রাতেই তাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ছয় শিশুর মধ্যে হোসাইনকে ওয়াশ করা হয়েছে।

অপর শিশুর বাবা মারুফ শাহ বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে মেয়েটার পেটে ও গলায় ব্যথা শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পর বমি করতে থাকে। তখনই সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখন একটু সুস্থ আছে।

হরিনাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আল আমিন বলেন, একটি শিশু সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালে আসলে তার শরীরে বিষ খাওয়ার আলামত পাওয়া যায়। কিন্তু হাসপাতালে ওয়াশ করার ব্যবস্থা না থাকায় শিশুটিকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মেহেদী ইসলাম টিটু বলেন, শিশুরা বিষ খাওয়ার হিস্ট্রি নিয়ে সদর হাসপাতালে এসেছে। তবে তাদের শারীরিক অবস্থা প্রাথমিকভাবে শঙ্কামুক্ত মনে হচ্ছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে শিশুদের ভর্তি রাখা হয়েছে।

হরিনাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ রউফ খান বলেন, ঘটনাটি শোনার পর গ্রামটিতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। অসাবধানতাবশত খেলার ছলে শিশুরা নলকূপের পানির সাথে কীটনাশক মিশিয়ে খেয়েছে। তবে বিষয়টি শত্রুতামূলক মনে হচ্ছে না। তবুও আমরা তদন্ত করছি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

নলকূপে কীটনাশক ঢেলে পানি পান, হাসপাতালে ৬ শিশু

আপডেট সময় ১২:০১:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার কাচারীতলা গ্রামে খেলার সময় নলকূপের পানির সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েছে ৬ শিশু। সোমবার রাত ৯টার দিকে তাদেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালে ভর্তি শিশুরা হলো- ওই গ্রামের কামিরুল শাহের ছেলে হোসাইন শাহ (৪), সাইফুল শাহের মেয়ে মরিয়ম (৭), সাগর খাঁর ছেলে আব্দুল্লাহ (৩), হাসান মন্ডলের মেয়ে জান্নাতুল (৯), রতন শাহের ছেলে রোকেয়া (৯) ও মারুফ শাহের ছেলে মার্ফিয়া (৬)। বর্তমানে তারা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

সন্ধ্যার দিকে রমজান মন্ডল তার ওষুধের বোতল খুঁজতে আসেন। কিছুক্ষণ পর কামিরুল শাহের চার বছরের ছেলে হোসাইন শাহের পেটে ব্যথা শুরু হয়। ওই শিশুর সঙ্গে কথা বলে নলকূপের ধারে গিয়ে কীটনাশকের বোতল পায় অভিভাবকরা। পরক্ষণেই শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রাত ৮টার দিকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হোসাইনের সঙ্গে কীটনাশক মিশানো পানি খাওয়া অপর পাঁচ শিশুর বমির পাশাপাশি পেটে ও গলায় ব্যথা শুরু হলে রাতেই তাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ছয় শিশুর মধ্যে হোসাইনকে ওয়াশ করা হয়েছে।

অপর শিশুর বাবা মারুফ শাহ বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে মেয়েটার পেটে ও গলায় ব্যথা শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পর বমি করতে থাকে। তখনই সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখন একটু সুস্থ আছে।

হরিনাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আল আমিন বলেন, একটি শিশু সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালে আসলে তার শরীরে বিষ খাওয়ার আলামত পাওয়া যায়। কিন্তু হাসপাতালে ওয়াশ করার ব্যবস্থা না থাকায় শিশুটিকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মেহেদী ইসলাম টিটু বলেন, শিশুরা বিষ খাওয়ার হিস্ট্রি নিয়ে সদর হাসপাতালে এসেছে। তবে তাদের শারীরিক অবস্থা প্রাথমিকভাবে শঙ্কামুক্ত মনে হচ্ছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে শিশুদের ভর্তি রাখা হয়েছে।

হরিনাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ রউফ খান বলেন, ঘটনাটি শোনার পর গ্রামটিতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। অসাবধানতাবশত খেলার ছলে শিশুরা নলকূপের পানির সাথে কীটনাশক মিশিয়ে খেয়েছে। তবে বিষয়টি শত্রুতামূলক মনে হচ্ছে না। তবুও আমরা তদন্ত করছি।