ময়মনসিংহ , সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

নিরপেক্ষ নির্বাচনে আস্থা অন্তর্বর্তী সরকারেই বললেন সালাহউদ্দিন আহমেদ

জুলাই মাসে সংঘটিত রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে সংস্কার প্রস্তাব চাওয়া হয়। এই প্রক্রিয়ায় নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা আরও জোরদার হয়েছে, বিশেষ করে দেড় যুগের বেশি সময় পর জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আকাঙ্ক্ষার পটভূমিতে। এই প্রেক্ষাপটে দ্রুত নির্বাচনের দাবি উঠলেও, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রতিক্রিয়া মিশ্র। তবে অন্যতম বড় দল বিএনপি একদিকে রাষ্ট্র সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, অন্যদিকে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে অনড় থেকেছে।

তবে বিএনপির এই অবস্থান নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়েছে দলটি। কেউ কেউ বলছেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে সংস্কার চায় না, বরং ক্ষমতা দখলই তাদের উদ্দেশ্য। এসব অভিযোগের জবাবে বিএনপি নেতারা বলেছেন, যখন ক্ষমতাসীন সরকার ছিল, তখনই রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা তুলে ধরেছে বিএনপি। জাতীয় ঐক্যমত ও কমিশনের সংস্কার প্রস্তাবেও ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে দলটি।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু  জানান, তারা দীর্ঘ সাত-আট বছর ধরেই সংস্কারের কথা বলে আসছেন। তাদের মতে, একবারেই সব সংস্কার সম্ভব নয়। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, এবং যেই সরকারই ক্ষমতায় আসুক, তাকে সংস্কার চালিয়ে যেতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি ইতোমধ্যে ২৭ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে এবং পরে যুগোপযোগী করে তা ৩১ দফায় পরিণত করেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, তা টিকিয়ে রাখা এবং গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য বিএনপির নেতৃত্বেই বেশিরভাগ উদ্যোগ হয়েছে।

ঐক্যমত্য কমিশনের কাছে জমা দেওয়া সব রাজনৈতিক দলের সংস্কার প্রস্তাব প্রকাশ করে, আগামী নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি করে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা এক মাসের মধ্যেই সম্ভব বলে মনে করেন তারা।

নির্বাচন নিয়ে বিলম্বের কোনো ষড়যন্ত্র থাকলে, অতীতের মতো আবারও আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে বিএনপি। আমির খসরু বলছেন, যেখানে ঐক্যমত হয়েছে, সেখানে সংস্কারগুলো এক মাসের মধ্যেই বাস্তবায়ন সম্ভব। রোডম্যাপ নির্ধারণ করে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন ঘোষণা করতে হবে—এটাই বিএনপির জোরালো দাবি।

বিএনপির মতে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনেই নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে। প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস যদি এই প্রক্রিয়ায় থাকেন, তবে নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে বলেই তারা আশা করছেন।

নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ নির্ধারণ ও জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি গড়ে তুলতে বিএনপি একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে রয়েছে বলে জানান দলের অন্যতম নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

নিরপেক্ষ নির্বাচনে আস্থা অন্তর্বর্তী সরকারেই বললেন সালাহউদ্দিন আহমেদ

আপডেট সময় ০১:১৭:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

জুলাই মাসে সংঘটিত রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে সংস্কার প্রস্তাব চাওয়া হয়। এই প্রক্রিয়ায় নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা আরও জোরদার হয়েছে, বিশেষ করে দেড় যুগের বেশি সময় পর জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আকাঙ্ক্ষার পটভূমিতে। এই প্রেক্ষাপটে দ্রুত নির্বাচনের দাবি উঠলেও, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রতিক্রিয়া মিশ্র। তবে অন্যতম বড় দল বিএনপি একদিকে রাষ্ট্র সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, অন্যদিকে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে অনড় থেকেছে।

তবে বিএনপির এই অবস্থান নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়েছে দলটি। কেউ কেউ বলছেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে সংস্কার চায় না, বরং ক্ষমতা দখলই তাদের উদ্দেশ্য। এসব অভিযোগের জবাবে বিএনপি নেতারা বলেছেন, যখন ক্ষমতাসীন সরকার ছিল, তখনই রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা তুলে ধরেছে বিএনপি। জাতীয় ঐক্যমত ও কমিশনের সংস্কার প্রস্তাবেও ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে দলটি।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু  জানান, তারা দীর্ঘ সাত-আট বছর ধরেই সংস্কারের কথা বলে আসছেন। তাদের মতে, একবারেই সব সংস্কার সম্ভব নয়। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, এবং যেই সরকারই ক্ষমতায় আসুক, তাকে সংস্কার চালিয়ে যেতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি ইতোমধ্যে ২৭ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে এবং পরে যুগোপযোগী করে তা ৩১ দফায় পরিণত করেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, তা টিকিয়ে রাখা এবং গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য বিএনপির নেতৃত্বেই বেশিরভাগ উদ্যোগ হয়েছে।

ঐক্যমত্য কমিশনের কাছে জমা দেওয়া সব রাজনৈতিক দলের সংস্কার প্রস্তাব প্রকাশ করে, আগামী নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি করে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা এক মাসের মধ্যেই সম্ভব বলে মনে করেন তারা।

নির্বাচন নিয়ে বিলম্বের কোনো ষড়যন্ত্র থাকলে, অতীতের মতো আবারও আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে বিএনপি। আমির খসরু বলছেন, যেখানে ঐক্যমত হয়েছে, সেখানে সংস্কারগুলো এক মাসের মধ্যেই বাস্তবায়ন সম্ভব। রোডম্যাপ নির্ধারণ করে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন ঘোষণা করতে হবে—এটাই বিএনপির জোরালো দাবি।

বিএনপির মতে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনেই নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে। প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস যদি এই প্রক্রিয়ায় থাকেন, তবে নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে বলেই তারা আশা করছেন।

নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ নির্ধারণ ও জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি গড়ে তুলতে বিএনপি একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে রয়েছে বলে জানান দলের অন্যতম নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ।