‘নির্বাচনের কথা বললেই দোষ হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনের কথা বললে ভারতের দালাল, আওয়ামী লীগের দালাল বানিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু যারা নির্বাচন ঠেকাতে চায় তারা কি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বাধা দিচ্ছে না? নির্বাচন না হলে নির্বাচিত সরকার না হলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে কীভাবে? দেশে প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে, দেশের জনগণকে ভালো রাখতে হলে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে হলে অতি জরুরি নির্বাচিত সরকার দরকার।’
গত সোমবার (২ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য স্বৈরাশাসকের পতন ঘটিয়েছি। কিন্তু সেই গণতন্ত্র কীভাবে ঠেকানো যায় তার একটি উদ্যোগ আস্তে আস্তে উন্মোচিত হচ্ছে আমাদের সামনে। যারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তান রক্ষার আন্দোলনের সঙ্গে ছিল তাদেরই একটা অংশ নতুন করে তৈরি হয়েছে যারা নিজেদের গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী দাবি করে। কিন্তু তারা গণতন্ত্রের পক্ষে, নির্বাচনের পক্ষে দাঁড়ায় না। শেখ হাসিনা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য গত ১৫-১৬ বছর বিএনপি লড়াই-সংগ্রাম করেছে।
জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিবুর রহমান হাবিবসহ অন্যরা।