জাতীয় নির্বাচন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিল মাসের মধ্যে করার পরামর্শ দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার কথা বলেছে সরকার। সংস্কারের যে কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে, তা যদি গতিশীল করা এবং অংশীজনরা সহযোগিতা করলে, সরকার ঘোষিত সময়ে সংস্কারের পর নির্বাচন সম্ভব। এজন্য দুটি সময়কে আমরা উপযুক্ত মনে করি। একটি ফেব্রুয়ারি মাস রোজা শুরুর আগে। যদি এ সময়ে সংস্কার এবং বিচার কাজ শেষ না হয়, তাহলে এপ্রিল মাস পার হওয়া উচিত নয়। কারণ এরপর কুরবানির ঈদ এবং ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।’
তিনি বলেন, ‘মাঝে মাঝে সরকারের কিছু উপদেষ্টা অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করেন। এটা আমাদের বিস্মিত করে। তারা রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ থেকে তাদের নিবৃত থাকতে হবে।’
নারী কমিশনের প্রতিবেদনের কিছু সুপারিশ সরাসরি কুরআন বিরোধী উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে দেশের পারিবারিক ব্যবস্থার ওপর বড় আঘাত লাগবে। কুরআন বিরোধী কমিটিকে বাতিল করতে হবে। এ বিষয়ে সরকারকে এরইমধ্যে আমরা সতর্ক করেছি। তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করি।’
জাতীয় স্বার্থে সবাইকে এক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো কোনো দল তাদের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। চাঁদাবাজিসহ সামাজিক অপকর্ম থেকে বিরত না থাকলে সেসব দলের প্রতি মানুষের ঘৃণা জন্মাবে।’