সোমবার (১৪ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে জামায়াতে ইসলাম সহযোগিতা করছিল, তাদের তিনি ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়েছেন। জাতীয় পার্টি সাহায্য করছিল, বিলীন করে দিয়েছেন। এক-এগারোর ঘটনার পর সেনাবাহিনীকে হত্যা করেছে। এখনো পঞ্চম-ষষ্ঠবারের মতো যারা আওয়ামী লীগকে সাহায্য করতে চান, তাদের সঙ্গে মিলে সম্প্রতি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে নির্বাচনকে ব্যাহত করার যে ষড়যন্ত্র, তা রুখে দেওয়া হবে।’
গত ১৬ বছর তারেক রহমান বাংলাদেশের গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য যে সংগ্রাম করেছেন, সেই সংগ্রামের ফল জুলাই-আগস্ট—এমনটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজ আবার নতুন করে আমাদের মাঠে দয়া করে নামাবেন না। আমরা মাঠে আর নামতে চাই না। আমরা এখন নির্বাচনের মাধ্যমে গ্রামে-গঞ্জে যেতে চাই, মানুষের সেবা দিতে চাই। ১৬ বছর যেই টাকাগুলো লুট করে নিয়ে গেছে সেই টাকাগুলো আবার সঞ্চয় করে বাংলাদেশের মানুষের ঘরে ঘরে শান্তি পৌঁছে দেব।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘বরগুনাতে আমাদের ইমামকে হত্যা করার চেষ্টা করার চেষ্টা করা হয়েছে, চাঁদপুরের ব্যাপারও সহ্য করেছি। কিন্তু সহ্যের একটা সীমা আছে। সীমা আমরা রক্ষা করতে চাই। কারণ, আমাদের নেতা বলেছেন, সরকার গঠন করতে হলে ধৈর্য ধরতে হবে। সরকার গঠন করতে হলে দিনের ভোট, দিনে করতে হবে। জনগণের ভোটের দিকে চেয়ে থাকতে হবে। জনগণের সেবা করতে হবে।’
তারেক রহমানকে নিয়ে আবারও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে—এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এই ষড়যন্ত্রে কোনো লাভ হবে না কারণ শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের দরবারে একজন খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ, দেশনায়ক তিনি।’