জুলাই আন্দোলনে ঢাকার কাফরুল থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত।
পাশাপাশি রাষ্ট্রদ্রোহ ও জনগণের ভোট ছাড়া নির্বাচন সম্পন্ন করার মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলমকেও গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।
গত ১৮ আগস্ট পলক ও জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা।
পলকের মামলার সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই কাফরুল থানার মিরপুর ১০ এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন ভুক্তভোগী ও মামলার বাদী মো. আব্দুল আলীম। ঘটনার দিন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আসামিদের ছোড়া গুলি ভুক্তভোগীর দুই চোখ, বাম হাত, বাম গাল ও বুকের মাঝে লাগে। দীর্ঘ দিন চিকিৎসা শেষে আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে এ বছরের ১ এপ্রিল কাফরুল থানায় মামলা করেন তিনি। এ মামলায় পলক প্রধান আসামি।
গত ২২ জুন দশম থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করা তিন সিইসি যথাক্রমে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, নুরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করার অভিযোগে শেরেবাংলানগর থানায় মামলা করেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান। ২৫ জুন এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ওই তিন নির্বাচনে গায়েবি মামলা, অপহরণ, গুম খুন ও নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে, বিএনপি নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার করে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়। সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সত্ত্বেও সংবিধান লঙ্ঘন, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন, সরকারি কর্মচারী হয়েও অবৈধভাবে ভোটে হস্তক্ষেপ, ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটের কাজ সম্পূর্ণ করা ও জনগণের ভোট না পেলেও সংসদ সদস্য হিসেবে মিথ্যাভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ঘটনার সাক্ষী সব ভোট কেন্দ্র এলাকার ভোটাররা এবং ভোটারদের মধ্যে যারা ভোট দিতে বঞ্চিত হয়েছেন তারাসহ ভোট কেন্দ্রে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্যরা। এছাড়া ভোট কেন্দ্রে অনেক সৎ প্রিজাইডিং অফিসারসহ স্থানীয় লোকজনসহ অন্যান্যরাও ঘটনার সাক্ষী হবে। এছাড়া ব্যালট পেপারে যে সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই প্রকৃতভাবে তারা ভোট দিয়েছে কিনা সে বিষয়ে উল্লেখিত ঘটনার সঠিক রহস্য তদন্তে সত্য উদঘাটিত হবে।