বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ তথা বিপিএলের গ্রুপ পর্বের খেলা প্রায় শেষের দিকে চলে এসেছে। আর মাত্র ৬টি ম্যাচ শেষেই টুর্নামেন্ট প্রবেশ করবে প্লে-অফ পর্বে। তার আগে এখন তুমুল লড়াই চলছে শেষ চারে ওঠা নিয়ে।
এখন চলছে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব। এই পর্বে আর চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। এরপর ঢাকায় এসে অনুষ্ঠিত হবে দুটি ম্যাচ। ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে নকআউট তথা প্লে-অফের ম্যাচ।
বিপিএল থেকে এরই মধ্যে বিদায় নিয়েছে দুটি দল। দুর্দান্ত ঢাকা এবং সিলেট স্ট্রাইকার্স। দুর্দান্ত ঢাকা বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছিলো; কিন্তু এরপর আর তারা জয়ের রাস্তা খুঁজে পায়নি। টানা ১১টি ম্যাচ হেরে এরই মধ্যে বিপিএলে এবারের আসর শেষ করেছে তারা।
সিলেট স্ট্রাইকার্সও শুরুতে টানা ৫টি ম্যাচ হেরেছিলো। এরপর হঠাৎ করেই চার ম্যাচের ৩টিতে জিতে ঘুরে দাঁড়ায়। দলটির আশা ছিল, শেষ তিন ম্যাচ জিততে পারলে প্লে-অফের সম্ভাবনা টিকে থাকবে। কিন্তু শনিবার ফরচুন বরিশালের কাছে ১৮ রানে হেরে সে আশাও শেষ হয়ে গেছে তাদের। অর্থ্যাৎ, ঢাকার পর বিপিএল থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে সিলেটের ফ্রাঞ্চাইজিটিরও।
বাকি ৫ দলের মধ্যে প্লে-অফ নিশ্চিত করে ফেলেছে নুরুল হাসান সোহান এবং সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্স। ১০ ম্যাচের মধ্যে ৮টিতেই জয় পেয়েছে তারা। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। বাকি চার দলের কেউ আর রংপুরকে সেরা চার থেকে পেছনে ফেলতে পারবে না।
প্লে-অফের বাকি তিনটি জায়গার জন্য লড়াই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, ফরচুন বরিশাল, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স এবং খুলনা টাইগার্সের। এর মধ্যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স সবার চেয়ে এগিয়ে। তারা খেলেছেও অন্যদের চেয়ে একটি ম্যাচ কম। ৯ ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তারা।
কুমিল্লা যদি আর একটি ম্যাচে জয় পায়, তাহলে শেষ চার নিশ্চিত হবে তাদেরও। তবে তিন ম্যাচেই যদি তারা হেরে যায় এবং টেবিলের একেবারে শেষে থাকা খুলনা টাইগার্স যদি তাদের বাকি দুই ম্যাচই জিতে যায়, তাহলে রান রেটের হিসেব আসবে। সে ক্ষেত্রে কুমিল্লার তুলনায় খুলনার (রান রেট -০.১০১) সম্ভাবনা কমই বলা যায়। কারণ, কুমিল্লার রানরেট অনেক বেশি (১.৫১৬)।