ময়মনসিংহ , সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
কারাগারে বিএনপি নেতা প্রবাসীর কাছে চাঁদা চেয়ে গণভবনে প্রধান উপদেষ্টার সংবাদ সম্মেলনের খবরটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন আবুল কালাম আজাদ মজুমদার Fb777 Online On Collection Casino Philippines 2025 Leading Games In Addition To Huge Bonus Deals Declare Free A Hundred Php Established Internet Site Regarding Fb777 Possuindo Inside The Philippines 2024 মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত, নির্বাচন বিলম্বের ষড়যন্ত্র হতে পারে বললেন মির্জা ফখরুল আরও ৩০ বাংলাদেশি ইরান থেকে দেশে ফিরেছেন আবারও ব্যর্থ সাকিব গণসংবর্ধনায় বিপুল জনসমাগমে শেরপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফজলুর রহমান তারাকে বরণ সিরাজগঞ্জ সৎ মায়ের ঘরে মিললো শিশুর বস্তাবন্দী মরদেহ বিএনপি মিটফোর্ডের ঘটনায় তদন্ত ও অনুসন্ধান কমিটি করবে
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

পুলিশ কর্মকর্তার ঘুষ গ্রহণ থানার ভেতরে, ভিডিও ভাইরাল

নাটোর সদর থানার ভেতরে পুলিশের ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে আসা এক সেবা প্রার্থীর কাছ থেকে আমিনুল ইসলাম নামে এক উপ পরিদর্শকের ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিওটি প্রকাশ্যে এসেছে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি)সন্ধ্যায় ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এক মিনিট ২০ সেকেন্ডের ঐ ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য কাগজপত্র দিতে আসা এক সেবাপ্রার্থী সদর থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক আমিনুল ইসলামের সাথে হাত মেলানোর ছলে ঘুষ দেন। পরে আমিনুল তা ড্রয়ারে রেখে দেন।

এই ভিডিওটি ধারণকারী অপর ভুক্তভোগী মামুন হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) তিনি তার পরিচিত মোবারক হোসেনের হয়ে সম্প্রতি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে থানায় আসেন। এসময় থানার ভেতরেই ক্লিয়ারেন্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম তার কাছে ঘুষ দাবি করেন। এসময় অন্য এক আবেদনকারীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও ধারণ করে রাখেন তিনি। পরে তার কাছে ঘুষ দাবি করলে প্রতিবাদ করে থানা থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে আবেদনকারী মোবারককে বার বার ফোন করে ঘুষ দাবী করেন ওই এসআই।

তিনি বলেন, যারাই পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করেন তাদের থেকে কৌশলে পুলিশের অনেক কর্মকর্তারা টাকা আদায় করে নেয়। এই সময়ে এসেও যদি তারা এভাবে ঘুষ নেয় তাহলে তো আর বলার কিছু থাকল না।এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত এস আই আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুর রহমান বলেন, ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে। ভিডিওটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে এবং ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা হয়েছে। অভিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কারাগারে বিএনপি নেতা প্রবাসীর কাছে চাঁদা চেয়ে

পুলিশ কর্মকর্তার ঘুষ গ্রহণ থানার ভেতরে, ভিডিও ভাইরাল

আপডেট সময় ১১:০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

নাটোর সদর থানার ভেতরে পুলিশের ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে আসা এক সেবা প্রার্থীর কাছ থেকে আমিনুল ইসলাম নামে এক উপ পরিদর্শকের ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিওটি প্রকাশ্যে এসেছে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি)সন্ধ্যায় ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এক মিনিট ২০ সেকেন্ডের ঐ ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য কাগজপত্র দিতে আসা এক সেবাপ্রার্থী সদর থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক আমিনুল ইসলামের সাথে হাত মেলানোর ছলে ঘুষ দেন। পরে আমিনুল তা ড্রয়ারে রেখে দেন।

এই ভিডিওটি ধারণকারী অপর ভুক্তভোগী মামুন হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) তিনি তার পরিচিত মোবারক হোসেনের হয়ে সম্প্রতি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে থানায় আসেন। এসময় থানার ভেতরেই ক্লিয়ারেন্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম তার কাছে ঘুষ দাবি করেন। এসময় অন্য এক আবেদনকারীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও ধারণ করে রাখেন তিনি। পরে তার কাছে ঘুষ দাবি করলে প্রতিবাদ করে থানা থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে আবেদনকারী মোবারককে বার বার ফোন করে ঘুষ দাবী করেন ওই এসআই।

তিনি বলেন, যারাই পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করেন তাদের থেকে কৌশলে পুলিশের অনেক কর্মকর্তারা টাকা আদায় করে নেয়। এই সময়ে এসেও যদি তারা এভাবে ঘুষ নেয় তাহলে তো আর বলার কিছু থাকল না।এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত এস আই আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুর রহমান বলেন, ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে। ভিডিওটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে এবং ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা হয়েছে। অভিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।