ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ একটি জঙ্গি সংগঠন বললেন সাদিক কায়েম একইসঙ্গে জিতলেন হজের লটারি মিসরের তিন ভাইবোন আপিলের রায়ের তারিখ ঘোষণা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে সেনাপ্রধানের আহ্বান আর্মি সার্ভিস কোরকে লাল কেল্লা তিন দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা ৯৭ শতাংশ মুসলিম ভোটার মামদানিকে ভোট দিয়েছেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আটক ফেসবুকে ‘১৩ তারিখ ঢাকা যাওয়ার’ পোস্ট, তারেক রহমান যদি চাইতেন ৫ আগস্টই ক্ষমতা নিতে পারতেন বললেন আব্দুস সালাম ১০ম দিনের আপিল শুনানি শুরু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে ঝিনাইদহে মধ্যরাতে মৃদুস্বরে স্লোগান দিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মশাল মিছিল
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

পুলিশ কর্মকর্তার ঘুষ গ্রহণ থানার ভেতরে, ভিডিও ভাইরাল

নাটোর সদর থানার ভেতরে পুলিশের ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে আসা এক সেবা প্রার্থীর কাছ থেকে আমিনুল ইসলাম নামে এক উপ পরিদর্শকের ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিওটি প্রকাশ্যে এসেছে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি)সন্ধ্যায় ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এক মিনিট ২০ সেকেন্ডের ঐ ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য কাগজপত্র দিতে আসা এক সেবাপ্রার্থী সদর থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক আমিনুল ইসলামের সাথে হাত মেলানোর ছলে ঘুষ দেন। পরে আমিনুল তা ড্রয়ারে রেখে দেন।

এই ভিডিওটি ধারণকারী অপর ভুক্তভোগী মামুন হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) তিনি তার পরিচিত মোবারক হোসেনের হয়ে সম্প্রতি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে থানায় আসেন। এসময় থানার ভেতরেই ক্লিয়ারেন্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম তার কাছে ঘুষ দাবি করেন। এসময় অন্য এক আবেদনকারীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও ধারণ করে রাখেন তিনি। পরে তার কাছে ঘুষ দাবি করলে প্রতিবাদ করে থানা থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে আবেদনকারী মোবারককে বার বার ফোন করে ঘুষ দাবী করেন ওই এসআই।

তিনি বলেন, যারাই পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করেন তাদের থেকে কৌশলে পুলিশের অনেক কর্মকর্তারা টাকা আদায় করে নেয়। এই সময়ে এসেও যদি তারা এভাবে ঘুষ নেয় তাহলে তো আর বলার কিছু থাকল না।এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত এস আই আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুর রহমান বলেন, ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে। ভিডিওটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে এবং ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা হয়েছে। অভিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ একটি জঙ্গি সংগঠন বললেন সাদিক কায়েম

পুলিশ কর্মকর্তার ঘুষ গ্রহণ থানার ভেতরে, ভিডিও ভাইরাল

আপডেট সময় ১১:০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

নাটোর সদর থানার ভেতরে পুলিশের ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে আসা এক সেবা প্রার্থীর কাছ থেকে আমিনুল ইসলাম নামে এক উপ পরিদর্শকের ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিওটি প্রকাশ্যে এসেছে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি)সন্ধ্যায় ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এক মিনিট ২০ সেকেন্ডের ঐ ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য কাগজপত্র দিতে আসা এক সেবাপ্রার্থী সদর থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক আমিনুল ইসলামের সাথে হাত মেলানোর ছলে ঘুষ দেন। পরে আমিনুল তা ড্রয়ারে রেখে দেন।

এই ভিডিওটি ধারণকারী অপর ভুক্তভোগী মামুন হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) তিনি তার পরিচিত মোবারক হোসেনের হয়ে সম্প্রতি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে থানায় আসেন। এসময় থানার ভেতরেই ক্লিয়ারেন্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম তার কাছে ঘুষ দাবি করেন। এসময় অন্য এক আবেদনকারীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও ধারণ করে রাখেন তিনি। পরে তার কাছে ঘুষ দাবি করলে প্রতিবাদ করে থানা থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে আবেদনকারী মোবারককে বার বার ফোন করে ঘুষ দাবী করেন ওই এসআই।

তিনি বলেন, যারাই পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করেন তাদের থেকে কৌশলে পুলিশের অনেক কর্মকর্তারা টাকা আদায় করে নেয়। এই সময়ে এসেও যদি তারা এভাবে ঘুষ নেয় তাহলে তো আর বলার কিছু থাকল না।এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত এস আই আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুর রহমান বলেন, ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে। ভিডিওটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে এবং ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা হয়েছে। অভিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।