প্রেমিকের খালা-খালুকে আটক রেখে নীলফামারী থেকে মোস্তাফিজুর রহমানের কাছ থেকে তার প্রেমিকাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে তারা দুজন থানায় হাজির হয়। এরপর উভয়পক্ষের আপস-মীমাংসায় মুক্তি পান খালা-খালু।
বিষয়টি পুলিশ ও কিশোরীর পরিবার নিশ্চিত করলেও খালা-খালুর নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি।
জানা যায়, মোস্তাফিজের সঙ্গে ১৪ বছর বয়সি এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে এ সম্পর্ক মেনে নেননি প্রাইভেটকারচালক বাবা। তিনি গাজীপুর থেকে পরিবারসহ ফতুল্লায় চলে আসেন। জায়গা বদল হওয়ার পরও দুজনের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। ১৪ জুলাই মোস্তাফিজের সঙ্গে ফতুল্লার আদর্শনগর এলাকা থেকে নীলফামারী পালিয়ে যান ওই কিশোরী। সেখানে গিয়ে বয়স কম হওয়ায় বিয়ে করতে পারেননি তারা। এদিকে আত্মীয়স্বজনরাও তাদের পৃথক ঘরে রেখেছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
কিশোরীর বাবা জানান, মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে ১৪ জুলাই ফতুল্লা থানায় একটি জিডি দায়ের করা হয়। ৭ দিন পর প্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে নিখোঁজ কিশোরী নীলফামারী জেলায় অবস্থান করছে। বিষয়টি কিশোরীর বাবাকে জানানো হয়।
মেয়ের বাবা ধারণা করেন তার মেয়ে মোস্তাফিজের সঙ্গে আছে। এরপর কিশোরীর বাবার অনুরোধে মোস্তাফিজের খালা ও খালুকে গাজীপুর থেকে বুধবার রাতে আটক করে ফতুল্লা থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এরপর তাদের দিয়ে চাপ প্রয়োগ করে মোস্তাফিজকে বাধ্য করেন কিশোরীকে থানায় নিয়ে আসতে। এতে আজ শুক্রবার সকালে মোস্তাফিজ কিশোরীকে নিয়ে থানায় হাজির হয়। মোস্তাফিজের বাবা-মা না থাকায় খালা-খালুর বাসায় থাকেন তিনি।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম জানান, কাউকে আটক করা হয়নি। প্রযুক্তির মাধ্যমে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিশোরীকে আর কোনো সময় উত্ত্যক্ত করবেন না- এই শর্তে উভয় পরিবার আপস করে জিডি তুলে নিয়েছে।